×

সারাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধ, নারীসহ ১২ জনকে কুপিয়ে জখম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম

জমি নিয়ে বিরোধ, নারীসহ ১২ জনকে কুপিয়ে জখম

ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সাবু গাজীর পক্ষের চার নারীসহ ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। গতকাল (সোমবার ১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ৪ নম্বর কাটাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- মোসা. শাহাভানু বেগম (৫০), মোসা. রেশমা বেগম (৩০), মোসা. লাইজু বেগম (৩৮), মোসা. নিরু বেগম (৩৪) মো. তাহেজ গাজী (৭০) ও জাহিদ তালুকদার (২১)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সাবু গাজী জানান, বড়বাইশদিয়া ৪ নম্বর কাটাখালী এলাকার জহির মুন্সি, স্বপন খান, কালাম বাদশা ও শাহ আলম বাদশাহর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ এক বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নসু মেম্বার সালিসও করেন। কিন্তু তারা তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর আমার বাবা, বোন ও বোন জামাইকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে আমার বাবার মাথা ফেটে রক্তাক্ত করে ফেলে। আমি বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি।

এতে তারা প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা ১৪/১৫ জন একজোট হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ধারালো দা বটি এবং লাঠি নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে আমার মা, বোন, ভাগিনা ও বাবাকে কুপিয়ে যখম করেন। আর এই হামলার মূল নকশা হিসেবে কাজ করেন জহির মুন্সি, স্বপ্ন প্যাদা, কালাম বাদশা, শাহ আলম বাদশাসহ তাদের পুত্ররা।

আমার বোনদের উপর হামলার পরে তাদের শ্লীলতাহানী করে। আমার দুবোন রেশমা ও লাইজুর স্বর্নের চেইন ও কানের এক জোড়া দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার মূল্য আছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মো. জহির মুন্সি বলেন, সোমবার যে ঘটনা ঘটছে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম নাহ। আমি জানতে পারি দোকানের কাছে কথা কাটাকাটি হয় আমাদের ছেলেদের সাথে। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু করলে সাবু গাজীর দলবল নিয়ে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৬/৭ জন জখম হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নসু বলেন, জায়গা জমি নিয়ে অনেক দিন যাবত দু'পক্ষই সমস্যা করছে। তবে আমি সহ স্থানীয়রা মিলে সালিসি করি, তাতেও সমাধান হয়নি। কয়েকদিন আগে তাহেজ গাজীদের মারধর করে জহির মুন্সির লোকজন। তারা কোর্টে মামলা করলে আমরা সবাই মিলে সমাধানে বসবো বলে সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু গতকাল দু'পক্ষই আবার মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেল্লাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সঠিক তদন্ত করে দেখবে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App