×

সারাদেশ

আদিতমারীতে সাংবাদিক লাঞ্চিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

আদিতমারীতে সাংবাদিক লাঞ্চিত

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র এবং ভোরের কাগজ ও রংপুর সংবাদের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বাবুল। ছবি: ভোরের কাগজ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের আগাম বই বিতরণের ভিডিও-রত অবস্থায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র দ্বারা ভোরের কাগজ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় উপজেলার পুকুর পারের বইয়ের গোডাউনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দৈনিক ভোরের কাগজ ও রংপুর সংবাদের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বাবুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই আগাম শিক্ষকদের মাঝে দেয়ার নিউজ কাভার করার জন্য সেখানে যান। গিয়ে দেখেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কোনও স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী স্ব-স্ব স্কুলের বই নেয়ার জন্য সেখানে এসেছেন। তিনি আরও দেখতে পান দুইজন শিক্ষক টাকা নিচ্ছেন। সাংবাদিক সে বিষয় জিজ্ঞেস করলে টাকা দেয়ার জন্য প্রস্তুুত ব্যক্তি বলেন, আমি শিক্ষক নই আমি স্কুলের পিয়ন ম্যাডাম আমাকে পাঠিয়েছেন। পরে তিনি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্রকে এ বিষয়ে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করলে তিনি কোনও কিছু বলতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক তাকে অনুরোধ করলে তিনি জোর পূর্বক তার ভিডিও করা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

উক্ত ঘটনার বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা স্কাউট সাধারণ সম্পাদক জানতে পেরে মুঠোফোনে ভোরের কাগজ সাংবাদিকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ও স্কাউট এর চাঁদা নেয়া বন্ধের নির্দেশ দেন।

পরে সাংবাদিক আবারও ভিডিও ধারণ কালে আদিতমারী উপজেলা স্কাউট এর সহ-সম্পাদক শ্রী জগদিস চন্দ্র ভিডিও সাক্ষাতকারে রেগে বলেন, আমাকে আদিতমারী নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যার বলেছে এই দেখুন আমার কাছে রশিদ আছে, আমরাতো কোন অন্যায় করছি না বা ঘুষ নিচ্ছিনা।

সেখানে থাকা এক শিক্ষক বলেন, আপনারা কিসের টাকা নিচ্ছেন সেটি সাংবাদিক কে পরিস্কার করে বললে তো তিনি সব বুঝতে পারেন আপনারা সকলের কাছে টাকাও নিচ্ছেন আবার বলতে চাচ্ছেন না এটা কি ঠিক হচ্ছে আপনারা কিসের টাকা নিচ্ছেন সাংবাদিক সে বিষয় জানতে চাইতে পারে কিন্তুু আপনারা কেউ মুখ খুলছেন না কেন ? এটা কেমন কথা এ বলে তিনি জগদিস চন্দ্রের উপর রেগে কথা বলেন।

উক্ত ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক সহ বেশ কিছু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ঊক্ত ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ও বিষয়টি দেখবেন বলে সাংবাদিককে আশ্বাস প্রদান করেন।

সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে মুঠোফোনে আলোচনার জন্য ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিব করেননি।

এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারওয়ার এর সঙ্গে আলোচনা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে শিক্ষা অফিস থেকে আমাকে কোনও চিঠি দেয়নি আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা তাই এ ঘটনায় আমার বলার কিছুই নাই। সাংবাদিক কৃর্তক ভিডিও টি নির্বাহী অফিসারের হোয়াটস্যাপ এ পাঠানো হয়।।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App