×

সারাদেশ

সালথায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কুুপ্রস্তাবের অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম

সালথায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কুুপ্রস্তাবের অভিযোগ
সালথায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কুুপ্রস্তাবের অভিযোগ
সালথায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কুুপ্রস্তাবের অভিযোগ
ফরিদপুরের সালথায় যদুনন্দী বাজারে অবস্থিত জগজ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত সুপারের নাম ইব্রাহিম হোসাইন। সে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসুরিয়া গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে অত্র মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা ছড়িয়ে পরলে মাদ্রাসার সামনে অভিভাবক ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে সুপারের বিচার দাবি করে। পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে বিষয়টি প্রাথমিক সুরহা হয়। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় ক্লাস চলছিল, সোমবার সকালে সুপার ইব্রাহিম ঐ ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়, ঐ ছাত্রীর নামে একটি অভিযোগের কথা বলে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। ঐ ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান তিনি। এসময় ঐ ছাত্রী দ্রুত কক্ষ ত্যাগ করে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে, চুপ করে বসে থাকে। শ্রেণি শিক্ষক ক্লাস নেয়ার সময় ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসে। আরও জানা যায়, চল্লিশোর্ধ্ব সুপার এখনও বিয়ে করেননি এবং মাদ্রাসার কয়েকটি কক্ষ দখল করে বসবাস করেন। শ্রেণি শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন জানান, মেয়েটিকে কান্নাকাটি করতে দেখে আমি তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে কান্না করতে করতে বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর আমি মাদ্রাসার এক সদস্য কে জানাই। ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী জানায় সুপার হুজুর প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা ও লোভ লালসা দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, আজ সকালে ডেকে নিয়ে একটি অভিযোগের কথা বলে ভয় দেখিয়ে পুনরায় আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি অনেক ভয় পেয়ে দ্রুত ক্লাসে চলে যাই। এর আগে একদিন সুপার ইব্রাহিম হোসাইন দরজা আটকে ঐ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলেও জানায় সে। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ কমিটির সদস্য মো. কাইয়ুম মোল্লা বলেন, আজ সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আমাকে কল দিয়ে বিষয় টি জানালে আমি মাদ্রাসায় এসে ঐ ছাত্রীর মুখ থেকে সব কথা শুনি। মেয়েটির মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে পরবর্তীতে সালথা থানার পুলিশ ও শিক্ষা অফিসে খবর দেই। এর আগেও একাধিকবার সে এরকম কাণ্ড ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে মাদ্রাসার সুপারের যথাযথ শাস্তির দাবি জানাই। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার ইব্রাহিম হোসাইন বলেন, প্রবাসী এক যুবকের সাথে ঐ ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, প্রবাসীর স্ত্রী আমাকে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিয়েছে। এজন্য ছাত্রীকে ডেকে নিষেধ করা হয়েছে। খণ্ডকালীন শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন বিষয়টি বড় করেছে। মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত মাদ্রাসায় ছুটে আসি। বিস্তারিত অভিযোগ পেয়েছি, সকলের সাথে কথা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App