×

সারাদেশ

প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে মার্কিন তরুণী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম

প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে মার্কিন তরুণী

ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে মার্কিন তরুণী

এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় পাবনার ঈশ্বরদীর বাসিন্দা আসাদুজ্জামান রিজু ও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসনের। যোগাযোগের একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ভিন্ন দেশ আর ভিন্ন সংস্কৃতির বাধা আটকাতে পারেনি তাদের। প্রেমের টানে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসেছেন এই তরুণী। এরপর বিয়ে করে সংসার করছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায়।

গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে আসেন মার্কিন এই তরুণী। এরপর আসাদুজ্জামান পরিবারসহ বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন ১৯ অক্টোবর বিয়ে করেন ২৭ বছরের যুবক রিজুকে। বিয়ের আগে খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন হারলি। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর একটি ভাড়া বাড়িতে সংসার শুরু করেছেন।

হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০) যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি প্রদেশের জর্জটাউন শহরের বাসিন্দা। ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের পিয়ারাখালী মহল্লার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। তেমনি ২০২২ সালে হারলির সঙ্গে পরিচয়। তখন জানতেন না মেয়েটির বাড়ি কোথায়। ফেসবুকে দুজনের কথা হতো। তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, ভালো লাগা। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে দুজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দূরত্ব। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা শুরু হয়। দুই পরিবারই বিয়েতে সম্মতি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হারলি বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রেমের টানে ঈশ্বরদীতে মার্কিন তরুণী

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা উভয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। আমার বাসায় প্রতিদিন অনেক লোক আসছে আমেরিকান তরুণীকে দেখতে। বাসা ছোট হওয়ার কারণে নতুন বাসা ভাড়া নিতে হয়েছে। বাড়ির পাশেই এই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছি। এখন বাসায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা ও গোছগাছ করতে সময় কাটছে।’

তবে বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা ভয় ছিল বলে জানান হারলি আইরিন ডেভিডসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছিলেন। তাই একটু ভয় ছিল। তবে এসে দেখেন, সেসব সত্য নয়। এই দেশ, দেশের মানুষ অনেক ভালো। আসাদুজ্জামানের পরিবারও খুব ভালো। তাই সব মিলিয়ে তিনি খুব খুশি।

বিদেশি পুত্রবধূকে পেয়ে খুশি আসাদুজ্জামানের বাবা আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কার সঙ্গে কার জোড়া লিখে রাখছেন, তিনিই জানেন। প্রতিদিন অনেক মানুষ নতুন বউমাকে দেখতে আসছেন। মেয়েটা পরিবারের সবাইকে মানিয়ে নিয়েছে। খুব ভালো লাগছে।’

ঈশ্বরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ে তাঁদের গ্রামে এসে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি জানার পর দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগছে। মেয়েটি যেন ভালোভাবে গ্রামে থাকতে পারেন, কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে তারা খেয়াল রাখছেন।

ঈশ্বরদী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নবদম্পতির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’ তাদের দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App