×

সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উন্মাদনা

ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাব উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শত শত পর্যটকদের উম্মাদনা দেখা গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে মাইকিং করে নিষেধ করলেও তা মানছেন না। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সমুদ্রে গোসল হই হুল্লোড় এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতে দেখা গেছে পর্যটকদের। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগত পর্যটকদের কেউ কেউ কুয়াকাটা ত্যাগ করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ। উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার কুয়াকাটা-কলাপাড়ায় এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বাতাস থেমে থেমে চলছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল নয়টায় পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তাই পায়রা ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। [caption id="attachment_472069" align="aligncenter" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption] তবে উপকুলীয় এলাকার মানুষের মাঝে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তেমন একটা প্রভাব দেখা যায়নি। ৭ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করলেও এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি উপকুলের কোন মানুষ। অন্যদিকে সমুদ্রে মাছধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকল মাছধরা ট্রলার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সহ বিভিন্ন নদনদীতে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন থাকার কথা থাকলেও কেউ কেউ হোটেলের রুম ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন। কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটায় বর্তমানে পর্যটক কম রয়েছে। তবে আগত এসব পর্যটকদের মাঝে ঘুর্ণিঝড় হামুনের কোন প্রভাব পরেনি। তারা আরও উপভোগ করছেন। [caption id="attachment_472072" align="aligncenter" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption] কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক ডাবলু বলেন, গত দুইদিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও এরই মধ্যে শত শত পর্যটক দর্শনার্থীরা সমুদ্রে গোসল ও হই হুল্লোড়ে মেতে থাকে। মাইকিং করে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের বার্তা জানানো এবং সমুদ্রে নামতে নিষেধ করলেও তা মানছেন না তারা। এরপরও তারা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন, যাতে কোন দুর্ঘটনায় পতিত না হয়। সৈকতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জরুরী সভা করেছে। সেখানে জানানো হয় হামুন মোকাবেলায় কলাপাড়া উপজেলায় ১৫০টি সাইক্লোন সেল্টার, ২০টি মুজিব কিল্লা, ৩ হাজার ১৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App