×

সারাদেশ

আলফাডাঙ্গায় গাছের গায়ে রং লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪৪ এএম

আলফাডাঙ্গায় গাছের গায়ে রং লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন

ছবি: ভোরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গাছের গায়ে রং লাগিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সৌন্দর্য বর্ধন করছেন পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন।

জীবিত ফলজ বা বনজ গাছ। কোনটি মোটা আবার কোনটি সরু অবস্থায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনটার ছিন্নভিন্ন ডালপালা আবার কোনটি সবুজ পাতায় ভরপুর। নিষ্প্রাণ গাছে প্রাণ দেওয়ার তীব্র প্রয়াসে গাছের গায়ে চলছে কারুকাজ। প্রায় নগ্ন গাছগুলোকে যেন সিট কাপড়ের নতুন জামা পড়ানো হয়েছে। আবার নতুন কুড়ি-পাতার দেখাও মিলছে। মানুষই বৃক্ষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, আবার বৃক্ষই মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে রাখছে। যেন সৃষ্টির গোপন রহস্য সহজেই মেলে ধরা হয়েছে চিত্রগুলোতে।

বলছিলাম আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যে গাছের গায়ে রং তুলির খেলার কথা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক ছোট-বড়, মোটা-সরু গাছে সাদা ও লাল রং করা হয়েছে।

৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছে সাদা ও লাল রং এ নতুনরুপে গাছের যৌবন ও সতেজতা ফিরে পেয়েছে। যেটি ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজনসহ পথচারীদের নজর কেড়েছে।

গাছগুলোর চিত্রকর্মে আছে হাজারো গল্প। আর এ গল্প মানুষের, এ গল্প প্রকৃতির, এ গল্প দেশের। চিত্রশিল্পী বাবুল শেখ ও সাইফুল মোল্লা বলেন,সাতদিন ধরে গাছের গায়ে রং করছি।এখনও রং করা চলমান।তবে কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। গাছে রং করার কারণে পথচারীদের সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। গাছের গায়ে এ চিত্রকর্মে বিমোহিত হচ্ছে সাধারণ মানুষও।

স্থানীয় পথচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, বয়স হয়েছে, তার পরও গাছে রং দেখে খুবই ভালো লাগছে।মনে হচ্ছে সেই শৈশব-কৈশোরে ফিরে আসেছি।এ যেন তার নিজের মনের মাধুরী মিশে আছে। আমি ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেনকে এ কাজের জন্য সাধুবাদ জানাই। ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, গাছে রং করার কারণে দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। যার ফলে মানুষের মন উৎফুল্ল হয়েছে। অন্যদিকে চুন দিয়ে রং করা থাকলে সেই চুন প্রতিটি গাছের নিচের অংশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যে কারণে গাছের গোড়ায় পোকামাকড় সেই ভাবে আক্রমণ করতে পারে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো উইপোকা বাসা বাঁধতে পারে না। এসবের কারণে গাছের আয়ু বৃদ্ধি পায়।সেকারণে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কাজটি করেছি। প্রতিবছর এ কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা শেখ লিটন ভোরের কাগজকে বলেন, গাছগুলোতে রং করলে গাছের জীবনকাল বৃদ্ধি পায় এবং গাছের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়। এছাড়াও গাছের নিচের অংশে সাদা রঙ প্রয়োগ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এটি গাছের নতুন ছালটি উঠে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। গাছগুলো থেকে পোকামাকড়ও দূরে থাকে। এছাড়াও এমনভাবে রং করে রাখলে অন্য কোনো সংক্রমণ ও বিভিন্ন রকমের কীট পতঙ্গের হাত থেকেও গাছ রক্ষা পায় বলে তিনি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App