×

সারাদেশ

নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষক-সভাপতির কোন্দল, ব্যাহত পাঠদান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম

নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষক-সভাপতির কোন্দল, ব্যাহত পাঠদান
নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষক-সভাপতির কোন্দল, ব্যাহত পাঠদান

নীলফামারী সদর উপজেলার ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ (পিসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী গণপতি রায়ের বিরুদ্ধে স্কুল সভাপতির স্বাক্ষর জালের অভিযোগ। এছাড়া সরকারী পুরনো বই বিক্রিতেও রয়েছে তার নানা অনিয়ম। তাছাড়া আরো নানাবিধ অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের সভাপতি বাবু কালীদাস রায়।

এদিকে, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যান্য শিক্ষক মণ্ডলীদের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণসহ (সমাজ-বিজ্ঞান) শূন্য পদে যোগদানকৃত একজন শিক্ষককে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত হয়রানী করছেন উল্লেখ করে রেজুলেশন প্রস্তুত করেন বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ অন্যান্যরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক শ্রী গণপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমাদের মধ্যে সকল কোন্দল মিটমাট হয়ে গেছে। স্থানীয় লক্ষীচাপ ইউ,পি চেয়ারম্যান তা মিটমাট করে দিয়েছেন।' কবে? এবং কিভাবে মিটমাট হলো? এ বিষয়ে কোন রেজুলেশন প্রস্তুত করা হয়েছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ওগুলো আপনার জানার দরকার নেই, আপনারা আসছেন তেল খরচ নিয়ে চলে যান। এর আগে যারা (সাংবাদিক) আসছিলো আমি সবাইকে তেল খরচা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।' সাংবাদিক আসলেই তেল খরচ দিতে হবে? কেন দেন? উত্তরে প্রধান শিক্ষক কোন কিছু না বলেই সাংবাদিকদের হাতে ৫শত টাকার একগুচ্ছ নোট ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ।

বিষয়টি নিয়ে ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী কালীদাস রায় বলেন, 'আমি প্রধান শিক্ষক শ্রী গণপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু বিষয়টি আমরা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছি।' আমি আর কিছু বলতে পারবো না।' এ কথার শেষে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ছুটিতে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, ককই বড়গাছা প্রথমা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কোন্দল দীর্ঘ দিনের। একের পর এক কোন্দল উত্থাপিত হয়,আবার সেটি কিছুদিন চলমান থাকার পর পুনরায় মীমাংসা হয়ে যায়। তবে উভয়ের মধ্যকার কোন্দলগুলির মীমাংসার পেছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত থাকে। ফলে, উভয়ের মধ্যকার কোন্দলে ব্যহত হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় অভিভাকেরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App