×

সারাদেশ

লাইসেন্সহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৪ পিএম

লাইসেন্সহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

লাইসেন্সহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

খুলনা নগরীর তিনটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক দুইটি আইনে এক লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদের নির্দেশে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-ইমরান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। শহরের সাত রাস্তা মোড়ে অবস্থিত গরীব নেওয়াজ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক লিঃ এ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানিক দলের সদস্যরা তখন দেখতে পান-প্যাথলজি ল্যাবের ফ্রিজটি বিকল ও এসি বন্ধ। সেখানে কোমল পানিয়র বোতল এবং কয়েকটি ভ্যানিটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে মেডিকেল বর্জ্য ফেলার জন্য নীল, কালো এবং হলুদ রঙের বিন থাকার বিধান থাকলেও কোনো বিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশ নেয়া দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দি মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরি (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স-১৯৮২ অনুযায়ী তিন জন চিকিৎসকের তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে, কিন্তু আধা ঘন্টা বসে থেকেও কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। তখন চিকিৎসকদেও সহকারীরা রাউণ্ডে ছিলেন। এসব চিত্র দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনের ৫২ ধারায় এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন। তিনি জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হবে বলে ভ্যাম্যমাণ আদালত তাকে সতর্ক করেছেন। খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পর গরীব নেওয়াজ ক্লিনিক ডায়াগস্টিক লি. নামের প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে করা লাইসেন্সের গ্রহণযোগ্যতা নেই। সূত্রমতে, দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার লাইফ লাইন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। তখন সেখানে কেনো চিকিৎসক ছিলেন না। ইন্টার্ন সেবিকারা ছিলেন। অভিযান চলাকালীন ক্লিনিকে একজন রোগী অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরবর্তীতে খুমেক হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক এসে তাকে সেবা দেন। ক্লিনিকে একজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধিন থাকলেও তার সেবা প্রদানের কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থাই ছিল না। সূত্র জানান, সেখানকার প্যাথলজিতে গার্হস্থ্য কাজে ব্যবহার করা একটি ফ্রিজ ছিল। তাতে খাদ্য ও পানীয় সংরক্ষিত ছিল। রক্ত সংগ্রহের স্থানেও ছিল অব্যবস্থাপনা। মোবাইল কোর্টের টিম দেখে ম্যানেজার পালিয়ে যান। যে কারণে অভিযান পরিচালনাকারীরা প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র চেক করতে পারেন নি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের মালিক হেলালুজ্জামানকে মোবাইল কোর্ট পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করলে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। অভিযানিক দলটি এর আগে একই এলাকার হিউম্যান কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেয়েও প্রচণ্ড অব্যবস্থাপনা দেখতে পান। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সও ছিল না। এটির মালিক সুদীপ্ত মৈত্রকে মোবাইল কোর্ট পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠান দুটোর লাইসেন্স না থাকায় মেডিকেল প্রাকটিস এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ল্যাবরেটরি (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স-১৯৮২ এর ১৩ ধারা মোতাবেক ওই দু’ মালিককে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অভিযানে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের সাথে সিভিল সার্জন অফিসের (এমওসিএস) সাদিয়া মনোয়ারা উষা এবং আনসার সদস্যদের একটি টিম অংশ নেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App