×

সারাদেশ

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ভুক্তভোগীরা।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনির খান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চরখালী গ্রামে বসবাসকারী আব্দুল ওয়াদুদ সিকদার বাদী হয়ে লেমুয়া গ্রামে বসবাসকারী জাহাঙ্গীর খলিফাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলা নির্বাহী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে তদন্তভার দিলে তিনি গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে সরেজমিনে তদন্তে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ সদস্য সহ সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে তদন্ত চলার একপর্যায়ে উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অতঃপর স্থানীয় সাবেক বিএনপি নেতা হালিম হাওলাদার তার সাথে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দেন। এর জের ধরে পরের দিন ২৭ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর খলিফা ১১ জনের নামে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরে আমি জানতে পারি আমাকে আসামি করে ঘটনার একদিন আগে ২৫ সেপ্টেম্বর মির্জাগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চুরি, ছিনতাই ও শ্লীলতাহানীর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিএনপি নেতা হালিম হাওলাদার এর ভাগিনা ওয়াদুদ সিকদার এই মামলার বাদী। আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় সুপরিকল্পিতভাবে যে ঘটনার সৃষ্টিই হয়নি সেই বানোয়াট ঘটনার আগেই এই মামলা দায়ের করেন। আমি দেউলী গোহাটের ইজারাদার। মামলায় যে মিথ্যা ঘটনার সময় ও বিবরণ দেয়া হয়েছে সে সময় আমি গরুর বাজারে ছিলাম। শুধুমাত্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার অধিকাংশ স্বাক্ষী জানেনা ঘটনার খবর। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ এটি। আমি এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি করছি। তাছাড়া আমি মনে করি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র।

মামলার সাক্ষী কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম ও রাজ্জাক হোসেন রিপনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঘটনার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। ঘটনার ব্যাপারে স্বাক্ষীরা সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনি। স্বাক্ষী লাইলি বেগম ও আমেনা বেগমের কাছে শ্লীলতাহানির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা পরে কথা বলবেন বলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।

মামলার বাদী ওয়াদুদ সিকদার এর সাথে মুঠোফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App