×

সারাদেশ

চুরি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই মোটরসাইকেল চুরি!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম

চুরি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই মোটরসাইকেল চুরি!

মোটরমাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারসহ চুরি হওয়া ১৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে সিএমপি। ছবি: ভোরের কাগজ

আন্ত:জেলা চোরচক্রের ৩ জন গ্রেপ্তার

১৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার

আদালতে মোটরসাইকেল চুরি মামলায় হাজিরা দিতে এসে আবারো সেই মোটরসাইকেলই চুরি করতো একটি সংঘবন্ধ চোরের দল। শুধু আদালত প্রাঙ্গণ হতে নয়, কক্সবাজার ও কুমিল্লা থেকেও মোটরসাইকেল চুরি করে তা বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দিতো। অবশেষে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা মো. রিপনসহ ৩ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেটোপলিটন পুলিশের একটি দল।

এই রিপন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-কুমিল্লা এলাকায় তার চোরাই মোটরসাইকেল চক্রের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুমিল্লা ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা ১৩টি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মো. রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, চোরাইকৃত মোটরসাইকেলগুলো কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভি ও কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে। আটককৃত মো. রিপনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানা ও নাঙ্গলকোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেলসহ আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভিকে এবং কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেলসহ সজিবুল ইসলামকে আটক করা হয়।

সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া রিপনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি মামলা বিচারাধীন আছে। সে এসব মামলার হাজিরা সংক্রান্ত কাজে প্রায় সময়ই চট্টগ্রাম মহানগরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় আসে। হাজিরা শেষে বাড়িতে যাওয়ারকালে কোর্ট বিল্ডিং এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লক করা মোটরসাইকেল বিশেষ কায়দায় তৈরি ‘মাস্টার’ কী ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। সে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভি ও কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে এবং সেখান থেকে আসার সময় ১টি মোটরসাইকেল চুরি করে সেটি আবার কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে। আবার সজিবুল ইসলামের নিকট চোরাইকৃত মোটরসাইকেল বিক্রয় করে ফেরার আসার সময় ১টি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসে এবং সেটি আবার কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভির নিকট বিক্রয় করে। এভাবেই সে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও কুমিল্লায় মোটরসাইকেল চুরি ও তার একটি চোরাই সিন্ডিকেট চক্র তৈরি করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মো. রিপনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, পটিয়া, ফেনী জেলার ফেনী সদর থানা ও কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানায় মোট ৮টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়া আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভির বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় সর্বমোট ৫টি মোটরসাইকেল চুরিসহ মারামারির মামলা আছে বলে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App