×

সারাদেশ

তিস্তায় হু হু করে বাড়ছে পানি, জনগণকে সরিয়ে নিতে মাইকিং

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪১ পিএম

তিস্তায় হু হু করে বাড়ছে পানি, জনগণকে সরিয়ে নিতে মাইকিং

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি বেড়েছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার পানি ভবনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে গাইবান্ধা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গজলডোবা পয়েন্টে পানিসমতল বিগত মধ্যরাত হতে প্রায় ২৮৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ১১০.৩০ মি.) এবং দোমুহুনী পয়েন্টে অদ্য সকাল হতে প্রায় ৮২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ৮৫.৯৫ মি.) এবং এই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। আজ সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১.৩৫ মি. (বিপদসীমার ৮০ সে.মি. নিচে), যা আজ সকাল থেকে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আজ বিকাল নাগাদ বিপসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আজ সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮.১৫ মি. (বিপদসীমার ৬০ সে.মি. নিচে) যা আগামীকাল ভোর নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পানি সমতলের (৫২.৮৪ মি) কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

বন্যার এই পূর্বাভাস পাওয়ার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তিস্তা নদী বেষ্টিত চর ও নিচু অঞ্চলের মানুষকে দ্রুত উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার জন্য আজ বুধবার বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে সন্ধ্যায় বন্যার পূর্বাভাস নিয়ে আগাম প্রস্তুতি ও বন্যার সময় করণীয় বিষয়ক এক জরুরি সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তণে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এই সভার আয়োজন করে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামসুল আরেফীন, তারাপুর, কাপাশিয়া, হরিপুর, চন্ডিপুর, বেলকা ও শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সম্ভাব্য বন্যার হাত থেকে তিস্তা নদী বেষ্টিত ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে নিতে ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App