×

সারাদেশ

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় সম্মননা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় সম্মননা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

ছবি: ভোরের কাগজ

পূর্বধলায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম (৭৮)এর জানাজায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান প্রিন্স সময়মত হাজির না হওযায় যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মননা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করার অভিযোগ উঠেছে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার শেষে মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন করেছেন। সরকারি কোন কর্মকর্তার সম্মননা ছাড়াই মরহুম ওই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করায় তিনি তার প্রাপ্য সম্মননা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

শুক্রবাব (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সারে ১০টায় উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের মহিষবের গ্রামে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিমের জানাজার শেষে কবরস্থানে চিরশায়িত করা হয়।

জানাজা ও দাফনের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার তোপের মুখে পড়েন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মহিষবের নিজ বাড়িতে মারাযান যুদ্ধাহতবীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হেকিম। তিনি দীর্ঘদন ধরে মরনব্যাধি ক্যান্সারে ভূগছিলেন।

পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নিজাম উদ্দিনের সরঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তার পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০ টায় দাফনের সময় নির্ধারন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ইউএনওকে জানানো হয় শুকবার সকাল ১০ টায় জানাজার সময়ের কথা। তিনি সকাল ১০ টায় জানাজায় উপস্থিত থাকবেন। সে অনুযায়ী আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সকালে হেকিম ভাইয়ের বাড়িতে উপস্থিত হই। সকাল ৯ টায় আমরা ইউএনও কে ফোন দিতে থাকি কিন্তু উনি ফোন রিসিফ করেন না। সকাল ৯ টায় পুলিশের টিম এসে পৌঁছায়। আরো বেশ কয়েকবার ফোন দেই তার পরও রিসিভ করেন না। সময় গড়িয়ে নিধারিত সময়ের আধাঘন্টা সময় উনার জন্য আমরা অপেক্ষা করি কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের কেউ আসে না। তখন আমরা স্থানীয় মুরব্বিদের পরামের্শে পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে দাফন করি।

লাশ দাফনের পর ইউএনও এসে উপস্থিত হন। তখন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। তিনি আরো বলেন ইউএনও এ ঘটনার আগে আরো বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় সময়মত যেতে পারেননি।

এ ব্যাপারে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, আমার আসতে অল্প সময় বিলম্ভ হয়ে গেছে এ জন্য আমি মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্যামগঞ্জ ফকির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী দাফন সম্পন্ন করা হয়। সেদিন সারাদিনই বৃষ্টি ছিল এবং ভিজতে হয়েছে এ জন্য রাতে বাসায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়ি। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তাছাড়া গাড়িটি নষ্ট ছিল। তারপর এসিল্যান্ডের গাড়ি নিয়ে গেছি, রাস্তাও খারাপ সব মিলিয়ে সময়মত পৌঁছতে পারিনি। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি। আশা করি ক্ষমা সুন্দর সৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App