×

সারাদেশ

জয়পুরহাট ও মুন্সিগঞ্জ ভিত্তিক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে আলু ব্যবসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম

জয়পুরহাট ও মুন্সিগঞ্জ ভিত্তিক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে আলু ব্যবসা

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

দেশে যথেষ্ট পরিমাণ আলু মজুদ রয়েছে বিভিন্ন হিমাগারের গুদামে। আর এসব আলুর গুদাম বা সংরক্ষণাগারের অধিকাংশই হচ্ছে জয়পুরহাট ও মুন্সিগঞ্জ ভিত্তিক। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সারা দেশের আলু ব্যবসা। এর পেছনে রয়েছে কিছু অসাধু- অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। তারা সারাদেশে অতি চতুরতার সাথে কৌশলে কোন ধরনের বিক্রয় রশিদ ছাড়াই আলু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বেপারি-আড়তদারসহ সব ব্যবসায়ী, সাধারণ ক্রেতারাও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।

চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আলু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা এমন সব তথ্যই জানালেন।

রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, এ বিষয়ে জয়পুরহাট ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম জেলা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার হিমাগার মালিক, আলুর পাইকারী বিক্রেতা, আড়তদার, বেপারী এবং কমিশন এজেন্টসহ জেলা বিভিন্ন বাজারের বণিক সমিতির ব্যবসায়ী নেতারা।

মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা অভিমত প্রকাশ করেন যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় মূলত মুন্সিগঞ্জ এবং জয়পুরহাট জেলা থেকে আলু জেলার বিভিন্ন আড়তে বেপারীদের মাধ্যমে আনা হচ্ছে। আড়তদারগণ সবাই সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। ব্যাপারীরা আড়তদারদেরকে পণ্যের ক্রয় মূল্যের কোন রশিদ প্রদান করেন না। বেপারীরাও অভিমত প্রকাশ করে জানান যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমাগার সমূহে যথেষ্ট পরিমাণে আলু মজুত আছে। কিছু কিছু অর্থলোভি মৌসুমি ব্যবসায়ী কমমূল্যে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশী দামে আলু (হিমাগারে সংরক্ষণের দলিল) বিক্রয় করছেন। এসময় ক্রয় মূল্যের কোন প্রকার রশিদ প্রদান করা হয়না। তাই বেপারীরাও আড়তদারদেরকে পণ্য ক্রয়মূল্যের রশিদ প্রদান করতে পারেন না। ব্যবসায়ী নেতারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহয়তা কমনা করেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ব্যবসায়ীদেরকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নীতি-নৈতিকতার সহিত ব্যবসা পরিচালনার আহবান জানান। পাশাপাশি আশ্বস্ত করেন যে, তিনি আলুর সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখার জন্য মুন্সিগঞ্জ এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

প্রসঙ্গত: গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আলুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িয়ে দেন একশ্রেণীর অতিমুনাফাখোর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু মাস দেড়েক আগেও ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App