×

সারাদেশ

সাবেক এমপির দুই পুত্র নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম

সাবেক এমপির দুই পুত্র নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া

সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন ও বড় ছেলে অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল।

কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের তিন পুত্রের দুই পুত্র আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। নৌকার টিকেট পেতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সমানে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি দুজনই নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আলাদাভাবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে দুই ভাই কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে দল থেকে যাকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই নির্বাচনে কাজ করবেন বলে জানাচ্ছেন তারা। মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত সাবেক এমপির এই দুই পুত্র নির্বাচনের মাঠ ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আফাজ আহমেদের দুই ছেলের মধ্যে রয়েছেন- বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল এবং ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন। দুই ভাইয়ের নৌকার টিকেট পাওয়ার প্রতিযোগিতার বিষয়টি নিয়ে এখানকার মানুষের মধ্যে সরব আলোচনা চলছে। যদিও দুই ভাই মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে আলাদা অবস্থান নেয়ায় অাফাজ পরিবার সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। তারা মাঠে থাকা দুজনের মধ্যে কার পক্ষ নেবেন এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৯০ সালের দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তখনকার উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল হক মোল্লাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে তখনকার উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেনকে পরাজিত করে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী অাফাজ উদ্দিন আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও চারবারের নির্বাচিত এমপি, সাবেক মন্ত্রী আহসানুল হক মোল্লার এই নির্বাচনী এলাকাটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। তবে এখন আর সেই দিন নেই। গত ১৫ বছর ধরে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আফাজ উদ্দিন আহমেদ রাজনীতিতে নিজে যথারীতি সংবেদনশীল থাকলেও তাতে বাগড়া পড়ে মেজো ছেলে আরিফ আহমেদ বিশ্বাসের কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। ওই সময় একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তোলেন আরিফ বিশ্বাস। তিনি নিজের অনুগত নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যক্তিকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলটির বড় একটি অংশের বিরাগভাজন হন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন আরিফ বিশ্বাস। তবে আফাজ উদ্দিন ক্ষমতাকে পুঁজি করে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কথা চিন্তাও করেননি কখনো। কিন্তু আরিফ বিশ্বাসের খামখেয়ালিপনার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা দেয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমনসহ সিনিয়র নেতাদের অনেকে তার কাছ থেকে সরে আসেন। দলের ভেতের-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আফাজ উদ্দিনকে। যা পরবর্তী নির্বাচনে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সক্রিয় হয়ে ওঠে বিদ্রোহী একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় নির্বাচনে আফাজ উদ্দিন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেও আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে দাঁড়ানো দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। দলের অনেকে মনে করেন, ওই নির্বাচনে ছেলে অারিফ বিশ্বাসের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাশুল গুনতে হয় আফাজ উদ্দিনকে। আরিফ বিশ্বাস ভিন্ন কৌশলে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা চালালেও তা বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। আরিফের দুর্নামের ভাগ বাবার ঘাড়ে উঠে আসে। পরে আরিফকে নিয়ন্ত্রণ করে পুরোপুরি রাজনীতির বাইরে রাখেন অাফাজ উদ্দিন। সামনে আনেন ছোট ছেলে এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুনকে। বাবার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে শেখ ফজিতুন নেছা মুজিব সরকারি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ বিশ্বাস নিজের পরিবার নিয়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান। তিনি এতদিন রাজনীতির ধারে-কাছেও ছিলেন না। মাস দুয়েক আগে শোডাউন করে এলাকায় ফেরেন। অতীতের ভুলত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নতুন করে রাজনীতিতে আসার প্রয়াস চালান। তিনি মনোনয়ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। তবে অপর দুই ভাই অনড় অবস্থানে থাকায় পারিবারিকভাবে একক প্রার্থীতার বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি তারা। এ কারণে নাখোশ হয়ে অারিফ বিশ্বাস নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

আফাজ উদ্দিন আহমেদকে একাদশে মনোনয়ন না দেয়া হলেও সবশেষ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ছোট ছেলে এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুনকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল চৌধুরীর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীও বড় ভাইয়ের মতো ওই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। প্রতীকও নেন একই। কিন্তু টোকেন চৌধুরী আনারস প্রতীকে নিজের পক্ষে ব্যাপক জোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম হলেও নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি। তাকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এজাজ আহমেদ মামুন। যদিও টোকেন চৌধুরী ওই সময় অভিযোগ তোলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বে মামুন বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস এবার জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন তিনি। একই আশায় রয়েছেন মামুনের বড় ভাই অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল। তিনি এক রকম অভিমান করে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকলেও বর্তমান কমিটিতে সদস্য পদেও রাখা হয়নি তাকে। এ নিয়ে তার অনুসারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে রাজশাহীতে বসবাস করছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষে রাজনীতির হাল ধরার লক্ষ্যে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসেন উপজেলার ত্যাগী নেতা পটল বিশ্বাস। তিনিও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পু্রোদমে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এমনকি তারা আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিভিন্ন স্থানে নিজেদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়েছেন।

মনোনয়ন ইস্যুতে সাবেক এমপি আফাজ আহমেদের দুই পুত্রই এখন মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী মনোনীত না হওয়া পর্যন্ত তারা একে অপররকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চাইছেন না। রয়েছেন পুরোপুরি বিপরীতমুখী অবস্থানে। এমনকি এক বাড়িতে থাকলেও দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা পর্যন্ত চলে না। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাসই কার্যত আফাজ পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদিও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মামুন বিশ্বাস অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেন। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেশখানিকটা দূরত্ব সৃষ্টি হয় তার। তবে দুই ভাইয়ের মধ্যে এই মুহূর্তে মামুন গণসংযোগে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মোটামুটি একটি অংশ তার পক্ষে রয়েছেন। অন্যদিকে বাবার মতোই পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী পটল বিশ্বাসও নেতাকর্মীদের কাছে টানতে পাল্লা দিয়ে গণসংযোগে নেমেছেন। দলটির অনেকের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব মন্তব্য উঠে আসে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আফাজ আহমেদের বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল বলেন, পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে বাবার শূন্যতা পূরণ করার দায়িত্ব আমার। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফাজ পরিবারের যে সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে তা ধরে রাখতে যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। বাবা যতদিন ছিলেন ততদিন নির্ভার ছিলাম। কিন্তু এখন পরিবারের পক্ষে দলের জন্য অনেক বড় দায়িত্ব সামনে চলে এসেছে। সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত গ্রামে গ্রামে ঘুরছি, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া মিলছে। কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য সেটা দলীয়প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে মেনে নিয়ে তার পক্ষে কাজ করব।

সাবেক এই এমপির ছোট ছেলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন বলেন, বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পণ করি। তিনি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। বাবার সঙ্গে পাঁচবার নেত্রীর কাছে গিয়েছি, তিনবার নেত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেছি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এখানকার মানুষকে ভালো রাখার জন্য সরাসরি কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনাসহ বিভিন্ন ক্রাইসিসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বড় ভাই তার জায়গা থেকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন চাইতেই পারেন সেটা তার ব্যাপার। মামুন বিশ্বাস বলেন, নিয়মিত গণসংযোগ করছি। বাবার মতো আমাকেও সবাই পছন্দ করেন বলেই প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। বাবা বলতেন, কখনো নৌকার সাথে বেইমানি করা যাবে না। বাবার কথা মনেপ্রাণে ধারণ করে রাজনীতি করছি। নেত্রী যাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

প্রসঙ্গত, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফাজ উদ্দিন আহমেদের রয়েছে বর্ণাঢ্য ইতিহাস। তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর একাধারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে না ওঠায় ২০২১ সালের ১৮ জুলাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি নানা প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। উপজেলার তারাগুনিয়ায় আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর দূর নিয়ন্ত্রিত শক্তিশালী বোমা হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনি আহত হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা তারাগুনিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আসমত অালী ও বোমা হামলাকারী স্থানীয় দুই যুবলীগ কর্মী। রাজনীতিতে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে তাকে। তবুও আপসকামী রাজনীতিতে জড়াননি। অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও সদালাপী এই নেতা তার পরিচ্ছন্ন ইমেজের কারণে দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে ছিলেন একজন গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বছর চারেক আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সবশেষ সম্মেলনে পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে বর্ষীয়ান নেতা আফাজ উদ্দিন বরাবরের মতোই সুনামের সাথে দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। মহামারি করোনায় মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে স্ত্রীসহ মৃত্যুবরণ করেন এখানকার জনপ্রিয় রাজনীতিক আফাজ উদ্দিন আহমেদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App