×

সারাদেশ

মুন্সীগঞ্জের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামের আলুর বাজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০১ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামের আলুর বাজার

চট্টগ্রামের মোহরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। ছবি: চট্টগ্রাম অফিস

আলু বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, রেয়াজ উদ্দিন বাজার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট বা অন্য বাজার। কিন্তু সেই আলু কি দামে বিক্রি করা হবে তার নির্দেশনা আসে মুন্সীগঞ্জের আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। মুন্সিগঞ্জের সাথে চট্টগ্রামের আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিমভাবে আলুর দাম বাড়িয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাঁচা বাজার, আড়তে গিয়ে অনুসন্ধান করার পর এমন সব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

মূলতঃ সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি অমান্য করছেন অতিরিক্ত মুনাফলোভী ব্যবসায়ীরা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় মোহরা কাজীর হাটের আড়তে অভিযানে পরিচালনা করেন। এই অভিযান পরিচালনার পর সেখানে পাইকারিতে ৩২ টাকা এবং খুচরায় ৩৬ টাকায় প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে। ৫৫-৬০ কেজি ওজনের আনুমানিক শতাধিক বস্তা আলু বিক্রি করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযানে।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের বিভন্ন আড়তে ও কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনাকালে আলু ব্যবসায়ীদের এসব কারসাজির তথ্য জানতে পারেন। অর্থাৎ মুন্সীগঞ্জ থেকে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে এবং চট্টগ্রামের কিছু ব্যবসায়ী সে অনুসারে তাদের ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের যোগসাজশে বেশি দামে আলু বিক্রি করছে। মুন্সীগঞ্জের যাদের থেকে আলু কিনেছেন বলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আলু কমিশনে বিক্রয় হচ্ছে এবং সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে মুন্সীগঞ্জ থেকে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং এখানে কিছু ব্যবসায়ী সে অনুসারে যোগসাজশে অধিক মূল্যে আলু বিক্রয় করে এই পূর্বের অবস্থা বহাল রাখার অপচেষ্টা করেছে।

তদারকিকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয় ভাউচা দেখাতে না পারা ও নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পাইকারী ৩৮-৪০ টাকা এবং খুচরা ৪৫-৪৭ টাকা আলু বিক্রয়ের অপরাধে আব্দুল বারেক ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, ফেনী বাণিজ্যালয়কে ৩০ হাজার, মোহরা বাণিজ্যালয়কে ৩০ হাজার এবং বার আউলিয়া বাণিজ্যালয়কে ৩০ হাজার সহ মোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর প্রতিষ্ঠানসমুহে পাইকারি ৩২ টাকায় ও খুচরা ৩৬ টাকায় আলু বিক্রয় করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা না মেনে এবং অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের পক্ষ থেকে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত বন্ধ করা হয়নি। ফেনী বাণিজ্যালয় নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িক বন্ধ করা হলেও সেই ব্যবসায়ী নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তাকে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App