রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীর দেয়া আগুনে কহিনুর বেগম নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে আমজাদ আলী নামের এক পাষণ্ড স্বামী এ ঘটনাটি ঘটায়।

জানাগেছে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নেশার টাকা নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে কহিনুরের গায়ে স্প্রীড ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী আমজাদ আলী। পরে কহিনুর বেগম বাঁচার জন্য ঘর থেকে দদ্ধ অবস্থায় বাড়ির বাহিরে এসে আত্মচিৎকার শুরু করে বিষয়টি জানা জানি হলে শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করলে চিকিৎসা চলাকালীন রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, আমজান হোসেন একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ। আমজাদ হেসেন পেশাষ একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলো। সে তিনি তার স্ত্রী সন্তানদেরকে কোন সাহায্য সহযোগিতা করে না। মৃত কহিনুর অন্যের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের খরচ চালা তো। আমজান মিস্টির কাজ করে যা আয় করে তা তার নেশা কোরেই শেষ করে। স্ত্রীর কাছ নেশার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে কহিনুর বেগমের গায়ে স্প্রিট ঢেলে গিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেই দিন থেকেই আমজাদ পলাতক রয়েছে।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত কহিনুর বেগমের ভাই সুলতান আলী বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় আমজদ হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। পালাতক আমজাদ হোসেনকে আটক চেষ্টা চলছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।