×

সারাদেশ

শাটল ট্রেন দুর্ঘটনা ও ক্যাম্পাসে তাণ্ডব, চবি’র ২ তদন্ত কমিটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম

শাটল ট্রেন দুর্ঘটনা ও ক্যাম্পাসে তাণ্ডব, চবি’র ২ তদন্ত কমিটি

শাটল ট্রেন দুর্ঘটনা ও ক্যাম্পাসে তাণ্ডব, চবি’র ২ তদন্ত কমিটি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনা ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসজুড়ে ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি এবং উপাচার্যের বাংলো, পরিবহন ও শিক্ষক ক্লাব ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেয়া হয়নি।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে ট্রেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত কমিটিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. মোহাম্মদ সহিদউল্লাহকে আহ্বায়ক, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পালকে সদস্য এবং প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দর রাজ্জাককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটিতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদকে আহ্বায়ক, জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলামকে সদস্য এবং সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয়কে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে হেলে পড়া গাছের আঘাতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী ও বহিরাগত আহত হন। এ সময় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর গুজবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই দিন রাত ১০টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং ৬৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দায়ের করা দুই মামলার ১৪ শিক্ষার্থীর নামসহ অজ্ঞাত আরও প্রায় ১০০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ থেকে।

হাটহাজারি থানায় দায়ের করা মামলা দুটির মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় নাম জানা আসামিরা হলেন- ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ ভূইয়া, পালি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে পরিবহন দফতরে ভাঙচুরের মামলার আসামিরা হলেন- দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আনিসুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের অনিক দাশ এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ও আজিমুজ্জামান।

চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবন, পরিবহন দফতর ও শিক্ষক ক্লাবে যারা হামলা করেছে, আমি মনে করি, তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। নিশ্চয়ই তারা কোনো না কোনো ইন্ধনে এগুলো করেছে। আমি মনে করি, দেশকে অস্থিতিশীল করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করা, জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার এগুলোই ঘটনার পেছনে মূল কারণ।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App