×

সারাদেশ

সিডিএ-সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়হীনতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

সিডিএ-সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়হীনতা

চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান বাধা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাজের সমন্বয়হীনতা। ফলে এ নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, জন দুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের ‘গাফিলতির’ কারণে চট্টগ্রামে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হচ্ছে না।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘জাতীয় স্বার্থে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন ও প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রতিশ্রুত কালুরঘাট নতুন সেতু অবিলম্বে নির্মাণের’দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। তাছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আবুল হাসেম, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেগাপ্রকল্প নেয়া হয়। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিন আগে মেগা প্রকল্পের আওতায় হওয়া বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেছি। কিন্তু নগরীর ড্রেনগুলো মেগা প্রকল্পের আওতায় এনে সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়নি। ফলে ড্রেনে ময়লা পানি জমে দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। সেখানে অনেকাংশে পলিথিন ব্যাগ এবং আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খালগুলি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও গভীরভাবে খননের পরেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমন্বয়ের চরম অভাব। তারা পরস্পরকে দোষারোপ করতে দেখা গেছে। সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনের দুই প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় কেউ কাউকে মানতে চাইছেন না। এতে উন্নয়ন কর্মকান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, জনগণ দুর্ভোগে পড়েছেন।

লিখিত বক্তব্য আরো বলা হয়, কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণে একযুগ আগে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি। এরকম ঘটনা বাংলাদেশে আর কোথাও ঘটেনি। এ সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর অন্তরিকতার বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে চরম ‘গাফিলতি’ করছেন। ফলে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণের কাজ এগোচ্ছে না। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন হয়ছে। কিন্তু কালুর ঘাট রেল সেতু নতুন করে নির্মাণ না হলে পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করবে। এ সেতু দিয়ে বড় কোন দুর্ঘটনা হলে তখন কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গে! এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আমরা চট্টগ্রাম মানুষ জলাবদ্ধতার অবসান ও নতুন কালুর ঘাট সেতু চাই। এটি শুধু চট্টগ্রামের নয়, পুরো বাংলাদেশের সেতু। প্রধানমন্ত্রী আগামী সংসদ অধিবেশনে এটি নিয়ে সিদ্ধন্ত নিবেন এই প্রত্যাশা করি।

আবুল হাসেম বলেন, অতীতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া এলাকা কখনো পানিতে তলিয়ে যায়নি। অপরিকল্পিত রেল লাইনের কারণে এ এলাকা ডুবে গেছে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বৃষ্টি হলেই খাতুনগঞ্জ পানিতে ডুবে যায়। ফলে হাজার কোটি টাকার পন্য নষ্ট হচ্ছে। কারিগরি দক্ষতার অভাবে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App