×

সারাদেশ

খুলনার তিন তেল ডিপোতে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম

খুলনার তিন তেল ডিপোতে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

খুলনার তিন ডিপোতে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। ছবি: বাবুল আকতার, খুলনা

জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশের দাবিতে আগামীকাল রবিবার ভোর থেকে অনির্দিস্ট কালের জন্য ধর্মঘট পালন করবে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের ডাকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোর তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা এ কর্মসুচি পালন করবে। এদিকে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে খুলনা জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি।

জানা যায়, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। খালিশপুরে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের ভবনে গত ৯ জুলাই সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল জন্য সকল জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকবে । পরবর্তীতে শোকের মাস অর্থাৎ ৩১ আগস্ট দাবি বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেন। জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ওই ৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামীকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) ভোর থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোর তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট কর্মসুচি ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। এদিকে ধর্মঘট কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে খুলনা জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। গত ২৩ আগস্ট রাতে খুলনা নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে প্রস্তুতি সভায় পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। এই সমর্থন জানায়।

খুলনা বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন জানান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের উপর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র যেমন- পেট্রোল পাম্প কোনভাবেই কল-কারখানার আওতায় পড়ে না। ফিলিং স্টেশনগুলো ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন তেল কোম্পানি থেকে উত্তোলনপূর্বক বিক্রয় করে থাকে। ফিলিং স্টেশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, অথচ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোকে চাপ প্রয়োগ করছে। যেহেতু ফিলিং স্টেশন কল-কারখানা নয় সেহেতু ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবেশ দুষণ হওয়ার সুযোগ নেই, অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোকে চাপ প্রয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিং স্টেশনের প্রবেশ দ্বার সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহারের জন্য সড়ক ও জনপথ ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে জমির ইজারা গ্রহণের চাপ প্রয়োগ করছে অথচ ফিলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহকারী সকল গাড়ির রুট পারমিট রয়েছে। এমনকি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীরও রুট-পারমিট রয়েছে। ফিলিং স্টেশনের জ্বালানি স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোন পরিমাপ যন্ত্র নয়, তাছাড়া এটা ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে কোনভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয় এবং যা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সুযোগ নাই, অথচ বিএসটিআই ওই আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিং স্টেশগুলোকে চাপ প্রয়োগ করছে।

শেখ মুরাদ বলেন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোকে যে চাপ সৃষ্টি করছে। তাতে অচিরেই এ ব্যবসাটি কঠিন সংকটে নিপতিত হবে। তাই আমরা মনে করি জ্বালানি ও ট্যাংকলরি ব্যবসার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব ঠিক রাখতে হলে অচিরেই আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলির একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App