×

সারাদেশ

আখাউড়ায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষককে মারধর!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪২ পিএম

আখাউড়ায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষককে মারধর!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মারধরের শিকার শিক্ষক তানভীর আহমেদ। ছবি: আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক শিক্ষককে মারধরসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পৌরশহরের দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।মারধরের শিকার তানভীর আহমেদ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা যায়, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় আখাউড়া উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল খারাপ হয়। ঐতিহ্যবাহী দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মাত্র ৭২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫৪.৫৫। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক সমাবেশ করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। মঙ্গলবার দুপুরে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় অভিভাবক সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন।

মারধরের শিকার বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক তানভীর আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশে পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য শিক্ষকদেরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন কয়েকজন অভিভাবক। এ সময় প্রধান শিক্ষক ছাড়া অন্য শিক্ষকদেরকে সমাবেশে থাকার ও কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। সমাবেশ শেষে বিদ্যালয় ভবনের দু’তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীদের সাথে আমি কথা বলছিলাম। এ সময় দেবগ্রাম গ্রামের শেখ সোহেল, জসিম উদ্দিন দেওয়ান ও পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল সর্দার এসে আমাকে কিল ঘুষিসহ মারধর করে। এ সয়ম শিক্ষক ফারুক আহমেদ ও গনেস চন্দ্র দাস এসে আমাকে রক্ষা করে।

তিনি আরও বলেন, শেখ সোহেল হুমকি দিয়েছেন আমি বিদ্যালয়ে আসলে আমার হাত পা ভেঙে ফেলবে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আসলে শিক্ষকদের অপমান করার জন্যই প্রধান শিক্ষক তাদেরকে অভিভাবক সাজিয়ে সমাবেশে আনেন। প্রধান শিক্ষকের উস্কানিতেই তারা তার উপর চড়াও হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কোনো ক্লাশ নেয় না। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া অনেক ছাত্রছাত্রীকে চূড়ান্ত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ জন্যই ফলাফল খারাপ হয়েছে। সমাবেশেও বিষয়গুলো শিক্ষকদের বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ সোহেল বলেন, আমি ওই শিক্ষককে মারধর করিনি। উল্টো তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। হুমকি দেয়ার কথাও সত্য নয়।

জানতে চাইলে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন এ ব্যপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। শিক্ষকের উপর হামলা হয়ে থাকলে ঘটনাটি দুঃখজনক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ভোরের কাগজকে বলেন, এ ব্যপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App