×

সারাদেশ

আমতলী হাসপাতালে ৫দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে রোগীরা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

আমতলী হাসপাতালে ৫দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে রোগীরা!

বরগুনার আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি সরবরাহের বৈদ্যুতিক মটারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ৫দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভর্তি হওয়া রোগী এবং তাদের সাথে আসা স্বজন ও আবাসিক ভবনে বসবাসরত ডাক্তার এবং নার্সরা পড়েছেন মহাবিপাকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনে পানি সরবরাহের জন্য ১ বছর আগে একটি নতুন বৈদ্যুতিক মটার বাসানো হয়। মটারটি ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অদ্য ২৭ আগস্ট রবিবার পর্যন্ত ৫দিন আমতলী হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবনে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগীসহ বিপুল পরিমান রোগী ভর্তি রয়েছে। পানির অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের গোসল করা এবং শৌচাগার সারা কঠিন হয়ে পড়েছে। পানির অভাবে শৌচাগারে ময়লার পাহাড় জমে দুর্গন্ধে এখন আর কেউ তার ধারে কাছেও যেতে পারছেন না। রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা আশপাশের স্বজনদের বাসাবাড়িতে গিয়ে গোসল এবং শৌচাগার সারছেন।

রোগীর সাথে আসা শিরিনা বলেন, গভীর নলকুপ থেকে পানি ভরে চার তলায় নিয়ে ওঠা খুব কষ্টকর। এভাবে আর পারা যায় না।

ষাটোর্ধ আব্দুল জব্বার নামে এক রোগী বলেন, বাবা বয়সের কারণে এমনিতেই ঠিকমত হাঁটতে পারি না তার উপর ডেঙ্গু জ্বর। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এখানে পানি নাই। না পারছি গোসল করতে না পারছি শৌচাগারে যেতে। এখন আমাদের হয়েছে মরন দশা।

আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি সরবরাহের জন্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে ৮-৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি বৈদ্যুতিক মটার বসানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, ঠিকাদার স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর যোগসাজসে কম মূল্যের এবং নিম্নমানের একটি বৈদ্যুতিক মটার বসানোর কারণে ১ বছরের মাথায় সেটি আবারও নষ্ট হয়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ বলেন, হাসপাতালে ৫দিন ধরে পানি তোলার বৈদ্যুতিক মটারটি নষ্ট হওয়ায় পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। আশাকরি দু’একদিনের মধ্যে এর সমাধান হয়ে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App