×

সারাদেশ

চর্মরোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্রী আশামনির পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪১ পিএম

চর্মরোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্রী আশামনির পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও
চর্মরোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্রী আশামনির পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

পূর্বধলায় কঠিন চর্ম রোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্রী আশামনির পাশে দাঁড়ালেন পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স।

বৃহস্পতিবার পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের মধুনাল গ্রামের আশামনিদের বাড়িতে ছুটে যান এবং তার বাব এবং মা এর কাছ থেকে মেয়ের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে আশামনির সুচিকিৎসারও আশ্বাস দেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, আগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সানোয়ার হোসেন, মধুনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ মন্ডল, স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন মিন্টু প্রমুখ।

উল্লেখ্য ভোরের কাগজ, স্বদেশ সংবাদসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পূর্বধলার আশামনির শরীরে বাসাবেঁধেছে কঠিন চর্মরোগ, সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওযায় পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান আশামনির খোঁজ নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থার করবেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বৃহস্পতিবার আশামনিদের বাড়িতে যান এবং তার অসুখের খোঁজ খজর নেন ও তার চিকিসার আশ্বাস দেন।

জানা যায়, পূর্বধরা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের মধুনাল গ্রামের দরিদ্র রিকসা চালক আওলাদ হোসেনের মেয়ে আশামনি (১০)। সে স্থানীয় মধুনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সে বিরল চর্মরোগে আক্রন্ত। তার পুরো শরীর জ্বলসে গেছে। তার পুরো শরীর চুলকানোর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়ে গেছে। তাকে প্রতিনিয়ত অসহ্য যন্ত্রানা সহ্য করতে হচ্ছে। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। সে চর্ম রোগ থেকে মুক্তি চায় এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়।

আশামনির মা করুনা আক্তার জানায়, আজ থেকে ১০ বছর আগে আশামনির জন্ম। জন্মেও ১৫ দিন পর থেকে তার পুরো শরীর লালচে হয়ে যায়। পরে শরীর থেকে পুরো চামরা খসে পড়ে। আবার লালচে হয় আবার চামরা খসে পড়ে। এ রকম চর্ম রোগে আক্রন্ত হয়েই বেড়ে উঠছে আশামনি। এ এক অসহ্য যন্ত্রনা। তার মা আরো জানান মেয়ের চিকিৎসার জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি পাাশাপাশি এলাকার মানুসও সহযেগিতা করছেন । তবে এখন আর কুলোতে পারছি না।

আশামনির পিতা আওলাত হোসেন জানান সারাদিন রিকসা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে রেময়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। কয়দিন পর পর মেয়ের শরীরে রক্ত দিতে হয়। ইতোমধ্যে ১৫/২০ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। আমি নিজে অনেকবার রক্ত দিয়েছি। চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু কোন উন্নতি হয়নি। মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগার করতে গিয়ে আমি নিজেও রক্ত বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। মেয়ে বড় হচ্ছে তাকে নিয়েও দুচিন্তা বাড়ছে।

আশামনি জানায়, শরীরে চর্মরোগের কারণে সারা শরীর চুলকায়, এতে সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। ফলে সারা শরীর ভীষণ যন্ত্রনা করে। যা সহ্য করা যায় না। আমার অনেক কষ্ট হয়। আমি ভালো হতে চাই, আমি এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই, আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, আমি আশামনির বাড়িতে গিয়ে ছিলাম তার বাবা মা’র সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছি। তারাও মেয়ের চিকিৎসা করে ১০/১৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তার পরও মেয়েটি ভালো হয়নি। আমরা ঢাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো এবং উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App