×

সারাদেশ

সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম

সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন । ছবি: জুটন বনিক, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সড়ক দিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে থাকা খানাখন্দ ও গর্তগুলোতে পানি জমে থাকার কারণে পথচারী ও এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে গর্তগুলো পুকুরসম রূপ ধারণ করেছে। দিনের পর দিন সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় সড়কের কাদামাটি মাড়িয়েই চলাচল করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উপজেলার মোগড়া বাজারের সিএনজি অটোরিকসা স্ট্যান্ড থেকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত।

আলামিন নামের এক অটোরিকসা চালক জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে অনেক আগেই পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এখন সামান্য একটু বৃষ্টি হলে সেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। ফলে বৃষ্টির পানি কাদা মাটিতে একাকার হয়ে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে। এখন এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে।

আবীর হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কই খানাখন্দে ভরা। তবে মোগড়া তিন রান্তার মোড় থেকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। ব্যবহারের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে যানবাহন।

আমীন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, কাদাময় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে এখানে প্রতিদিনই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাছাড়া ধীর গতিতে গাড়ি চলাচলের কারণে এখানে সবসময়ই যানজট লেগে থাকে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানায়, আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কের মোগড়া অটোরিকসা স্ট্যান্ড থেকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ১৯২ মিটার রাস্তা ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। তাছাড়া আখাউড়া উপজেলা অংশের বাকি চার কিলোমিটার সড়কের কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শুরু হবে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে এস্টিমেট জমা দেয়া হয়েছে। এখন এস্টিমেট অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ প্রকৌশলী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম সুমন ভোরের কাগজকে বলেন, সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App