গরীবের আমিষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ডিমের ওপরও কুদৃষ্টি পড়েছে ডিম সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের। এতদিন যাবৎ বিভিন্ন মিডিয়াতে ডিম নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ে ব্যাপক খবর প্রচার হলেও তাতে এই অতি মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কোন পাত্তাই দেননি। চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন যেন অনেকটা বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

এতে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রেই কোন মূল্য তালিকা নেই, থাকলেও তা মানা হচ্ছে না, বিক্রয় রশিদ দেয়া হচ্ছে না, দিলেও তাতে কম দাম লিখে নেয়া হচ্ছে বেশি টাকা। এমন প্রচুর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন চট্টগ্রামে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযানের সময় ৩ পাইকারি বিক্রেতাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নগরীর পাহাড়তলী এলাকার ডিমের পাইকারি দোকানগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, আগ্রাবাদ সার্কেল, গালিব চৌধুরী এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

চট্টগ্রাম মহানগরীর সব থেকে বড় ডিমের আড়ত পাহাড়তলীতে মোবাইল কোর্ট শেষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় জানান, বেশির ভাগ ডিমের দোকানে বিক্রয় রশিদ প্রদান করা হচ্ছে না। কিছু বড় দোকান রশিদ প্রদান করলেও সেখানে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। দোকানের মূল্য তালিকায় যে দাম লিখে রাখছে তা থেকে বেশি দামে ডিম বিক্রয় করছে। কারো কারো বিক্রয় রশিদে এটার প্রমাণ মিলছে, আবার অনেকে বিক্রয় রশিদই দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সকল ব্যবসায়ীকে ন্যায্য মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে এবং মূল্য তালিকা ছাড়া অধিক দামে ডিম বিক্রয় করতে পারবে না। কোন অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় বা কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে সংকট সৃষ্টি করে জনমানসের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে কি-না এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অধিক মূল্যে ডিম বিক্রির দায়ে পাহাড়তলি বাজারের মেসার্স শাহজাহান স্টোর, জান্নাত পোল্ট্রি এবং আল-আমিন স্টোরকে মোট ৩ মামলায় ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ কাদেরসহ পুলিশ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।