×

সারাদেশ

শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম

শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

২১ আগস্টের ঘাতকদের বিচার রায় বাস্তবায়নের আন্দোলন প্রসঙ্গে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেছেন, সব ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ২১ আগস্টের ঘাতকদের বিচারও হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানবতার মা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন কর্মসূচি ঘাতকদের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করলে জীবনের বিনিময় পালন করব ইনশাল্লাহ। নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সেই ভয়াল ২১ আগস্টের বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস ‘রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের’ ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার এসব কথা বলেন তিনি। ২১ আগস্ট স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নুনু মিয়া বলেন, আগস্ট মাস একটি কালো অধ্যায় ইতিহাস। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বপরিবারকে হত্যা করে ঘাতকরা। আর বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হওয়ার কারণে আমাকেও এই মাসের ৭ আগস্ট গুলশান সেন্টারে ঘাতকরা বোমা হামলা করে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেঁচে যাই। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, আমরা তাকে রক্ষা করতে পারি নাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হারাতে দেবো না। বাংলাদেশকে সুস্থ সুন্দর রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোড ম্যাপ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েছে স্বাধীনতারবিরোধী শত্রুরা। তাই দল মত নির্বিশেষে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উজ্জীবিত হয়ে আগামী দিনে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ভয়াল ২১ আগস্ট নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। গ্রেনেডের বিকট শব্দ, মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি হয়। আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী মিছিল-পূর্ব সমাবেশে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন। গ্রেনেডের স্পি­ন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল। তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই হামলা বাঙালি জাতি কোনো দিনও ভুলবে না। ২০০৪ সালের পর থেকে তাই দিনটি ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২১ আগস্টের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তবে জাতির ইতিহাসের জঘন্যতম এ গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীতে বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে হামলায় নিহতদের স্মরণ করবে। একইসঙ্গে ঘাতকদের ঘৃণা করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App