×

সারাদেশ

চালুর আগেই অচল তিন কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০২:০৪ পিএম

চালুর আগেই অচল তিন কোটি টাকার বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন

ফাইল ছবি

নীলফামারী ডিমলায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংস্কার (স্লিপ ফান্ড) তহবিল থেকে ২১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজির মেশিন কেনার নির্দেশনা দেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এ নির্দেশে প্রধান শিক্ষকেরা নিম্নমানের মেশিন ক্রয় করলেও গত তিন বছরে হয়নি সঠিকভাবে সেট আপ, কিংবা হয়নি কখনো চালু, ফলে অধিকাংশ মেশিন অচল হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকেরা বলছেন, তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নির্দেশে তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে সিংহভাগ মেশিন সরবরাহ করেছে। আমরা স্লিপের টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি। তখন এই মেশিন বাজার দর ছিলো ছয় থেকে সাত হাজার টাকা, অথচ তা আমরা পরিশোধ করেছি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আমরা হাজিরা মেশিন ক্রয় করেছি, সংযোগ না থাকায় কখনো ব্যবহার করা যায়নি, এখন দেখছি মেশিনটি নষ্ট হয়েছে। অফিসে বারবার বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী স্বাধীন সরকার জানান, তৎকালীন শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের মাধ্যমে ডিমলা উপজেলার ১৪৬টি বিদ্যালয়ে আমরা হাজিরা মেশিন সরবরাহ করেছি। প্রতিটি মেশিনের দাম ধরা হয়েছিলো ৮ হাজার টাকা প্রতি সেট। পাশাপাশি সিম ও সফটওয়্যার বাবদ ধরা হয়েছে আরও ২ হাজার টাকা কিন্তু তা পরিশোধ করা হয়নি। সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছিলাম, তারা কোথায় থেকে কিনেছে, এটা তাদের ব্যাপার, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App