×

সারাদেশ

কালীগঞ্জে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম

কালীগঞ্জে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

ছবি: ভোরের কাগজ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজার থেকে মাঝদিয়া ত্তত্বিপুর সড়কের ব্রীজের বেহাল দশা অনেক দিনের। এর সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঝদিয়া বাওরের উপরের সংযোগের ব্রিজটি। দুই মাস ধরে ভেঙে পড়া ব্রিজটি আজও সংস্কার করা হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ। এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ছোট মাঝারিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে অটোভ্যান, মোটরসাইকেল ও ব্যবসায়ীরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটি। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয়রা আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কার না করায় ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

বারোবাজার মাঝদিয়া বাওড়ের উপরের সংযোগের ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এলাকার সচেতন লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ওই স্থানে বাঁশ দিয়ে বিপজ্জনক চিহ্ন দিয়ে রাখলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

উপজেলার মাঝদীয়া, মঙ্গলপৈতা, সুবর্ণসারা, ত্তত্বিপুর, বারপা, লাওখালি, ভোগলপুর নাটোপাড়া, ঝাউদিয়া, কেসমত, লেবুতলা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও যশোর, মাগুরা জেলা হাজার হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। বিভিন্ন গ্রামসহ পার্শবর্তী দুই জেলার কয়েক হাজার লোক মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট অফিস ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধারনা দিয়েও ব্রিজটি সংস্কার করা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বারোবাজার- লেবুতলা জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ওই ইউনিয়নের মাঝদিয়া বাওরের উপরের সংযোগের ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য দুমাস আগে এখানে একটি বাঁশ সতর্কীকরণ চিহ্ন দেয়া হয়েছে। বারোবাজার একটি বড় বাজার। এখানে রয়েছে বিশাল কাঁচা মাল-গরু ছাগলের হাট ও বড় মাছের আড়ৎ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যপারীরা এই বারোবাজারে এসে কাঁচা মাল ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শিপন মৃধা বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ কেউই নিচ্ছে না, যার ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। বৃহৎ এই অ লের কয়েকশ’ হেক্টর জমির ফসল এই ব্রিজের উপর দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়। জরুলী ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ভোরের কাগজকে বলেন, ব্রিজের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত প্রকল্প প্রস্তাবটি পাশ হয়ে আসলেই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App