×

সারাদেশ

বর্ষণে বিপর্যস্ত পাঁচ জেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪১ এএম

বর্ষণে বিপর্যস্ত পাঁচ জেলা

ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে সেনা মোতায়েন

লাগাতার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে, একই সঙ্গে অনেক স্থানে ভূমি ও পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটছে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। বান্দরবানে পাহাড়ধসে নিহত হয়েছেন মা-মেয়ে। চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে অতিবৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে আজ ও আগামীকাল (৯ ও ১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : টানা বৃষ্টি, জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ কসাইপাড়া এলাকায় পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়াতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাতকানিয়ার কেরানিহাটে সড়কে উপর বুক সমান পানি জমে যাওয়া বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে সাঙ্গু নদীর ঢলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চন্দনাইশের বাগিচাহাট থেকে দোহাজারী অংশের সড়ক পানি ডুবে গেছে। স্মরণকালের রেকর্ড পরিমাণ পানি এখন কেরানিহাটে। প্রায় বুক সমান পানিতে ডুবে আছে পুরো এলাকা। চন্দনাইশ, সাতকানিয়ার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত। সাতকানিয়ার কেওছিয়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, ছদাহা, কাশিইয়াশ ইউনিয়ন পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া টানা বর্ষণে ডুবে গেছে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের রেলপথও। ডুবে গেছে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হাটহাজারী, রাউজানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া একাধিক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে টানা ৫ দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের নিচু এলাকা এখনো পানির নিচে। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। ভারি বর্ষণে প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম। পানি কিছুটা কমে এলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি চট্টগ্রাম নগরবাসীর।

গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, বাদুরতলাসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি দোকানে ও বাসায় পানি ঢুকেছে। নষ্ট হয়েছে অনেক দোকানের মালামাল। অনেক বাসার নিচতলায় পানির মোটর নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভবনে পানি তুলতে না পারায় তৈরি হয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।এদিকে টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় বিদ্যুৎ খুঁটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে এসব এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখো মানুষ।

চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি পটিয়া-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং দমকা বাতাসে প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া অন্তত তিন শতাধিক স্পটে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ছয় লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে অন্তত লাখো গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

অন্যদিকে লোহাগাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে আসহাব মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষক নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে পদুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পানির ¯্রােতে ভেসে যান তিনি। তার সন্ধানে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ইউনুচ। অন্যদিকে হালদা নদীর শাখা খালে পড়ে পানিতে ডুবে গেছেন শাহেদ হোসেন বাবু (৪০) নামে এক খামারি। জানা গেছে, অতি ভারি বর্ষণে রাউজান উপজেলার উরকিরচর গ্রামে শাহেদের গরুর খামার ডুবে কয়েকটি গরু পার্শ্ববর্তী খালে ভেসে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় গরুগুলো উদ্ধার করে নৌকায় করে ফেরার পথে হালদার শাখা খালে পড়ে যান শাহেদ ও তার তিন সঙ্গী। অন্য তিনজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তীব্র ¯্রােতে তলিয়ে যান শাহেদ। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও সদরঘাট থানা নৌ-পুলিশের টিম তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

পানির নিচে বান্দরবান, পাহাড় ধসে নিহত ২ : প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে গেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটির সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বান্দরবানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, আলীকদমসহ জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলার প্রধান দুটি পাহাড়ি নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরির ন্যাব্য কমে যাওয়া এবং এই নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা প্রধান শহর, উপজেলা শহর এবং জনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলো অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

এদিকে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার অজিত দাস বলেন, গত সোমবার দুপুরে পাহাড় ধসে বান্দরবান সদরে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। তারা পৌরসভার কালাঘাটা গোধার পাড় এলাকার বাশি শীলের স্ত্রী ও মেয়ে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সন্ধ্যা রানী শীলের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টার পরও উদ্ধার হয়নি তার মেয়ে বুলু শীলের (২২) মরদেহ।

রাঙ্গামাটিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

অব্যাহত ভারি বর্ষণে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। জেলার বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও বরকল উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। সিভিল সার্জন বাংলো এলাকায় বড়ো একটি পাহাড় ৪টি বাড়িতে ধসে পড়ে। এতে বাড়ির সদস্যরা ঘরে আটক পড়েন। পরে পুলিশের ২টি রেসকিউ টিম ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এছাড়া এই এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা আরো ৬টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

এদিকে টানা বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দরা। এতে করে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল।

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি 

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে পাহাড় ধস। পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা সদরের শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, ফুটবিল, কলেজপাড়া রূপনগর, গোলাবাড়ি এবং গঞ্জপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। এরই মধ্যে টানা বর্ষণে শহরের সবুবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে হাজারো পরিবার।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলায় মাঈনী নদীর পানিতে ডুবে গেছে মেরুং-লংগদু সড়ক। ফলে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সব প্রকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের একমাত্র বাজারটিও এখন পানির নিছে। দীঘিনালা উপজেলার ইউএনও আরফাতুল আলম জানান, মাঈনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখানে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

কক্সবাজারে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি 

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে আজ নতুন করে বহু এলাকায় পানি ঢুকেছে। জেলার ৭টি উপজেলাতেই এখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এসব উপজেলার অন্তত ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ। বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরিঘাট ও কুতুবদিয়া-মগনামা ফেরিঘাটে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানান, পাবর্ত্য জেলা বান্দরবান ও চকরিয়ার পাহাড়ি ঢল নেমে আসার মাধ্যম মাতামুহুরি নদী। পাহাড়ি ঢল, বৃষ্টি এবং জোয়ারের ঢেউয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। চকরিয়ার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে পৌরসভাসহ ১২ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকড়া, লক্ষ্যরচর, বুমুবিল ছড়ি, সুরেজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল, কোনাখালী ইউনিয়ন। অনেক এলাকায় পানি বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। এদিকে পানিবন্দি মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App