×

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে বন্যার অবনতি, পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম

খাগড়াছড়িতে বন্যার অবনতি, পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

খাগড়াছড়িতে বন্যার অবনতি, পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। ছবি: শংকর চৌধুরী, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়েই চলেছে। আর থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে পাহাড় ধস।

পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা সদরের শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, ফুটবিল, কলেজপাড়া রূপনগর, গোলাবাড়ি এবং গঞ্জপাড়া এলাকা পানির নিচে ডুবে গেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। এরই মধ্যে টানা বর্ষণে শহরের সবুবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে হাজারো পরিবার।

এদিকে, দীঘিনালা উপজেলায় মাঈনী নদীর পানিতে ডুবে গেছে, মেরুং-লংগদু সড়ক। মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল প্রকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের একমাত্র বাজারটিও এখন পানির নিছে।

দীঘিনালা উপজেলার ইউএনও আরফাতুল আলম জানান, মাঈনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখানে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যাকবলিত ও পাহাড় ধস হওয়া এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজগুলোতে যাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে, তা খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, শুধু কেবল খাগড়াছড়ি পৌর শহরে ৩০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার বসবাস করে। আর পুরো জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসতি গড়েছেন প্রায় পয়ত্রিশ হাজার পরিবার। বন্যা কবলিত ও পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস ও পৌরসভা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App