×

সারাদেশ

রাঙ্গাবালীতে একটানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৪ পিএম

রাঙ্গাবালীতে একটানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি

রাঙ্গাবালীতে একটানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি। কামরুল হাসান রুবেল রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামের পূর্ব বিলের প্রায় তিনশত একর ফসলি জমি নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বর্ষা মৌসুম আসলেই এই গ্রামের কৃষকদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। চাষাবাদ করতে হলে অন্যের জায়গা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য টাকা-ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে করতে হয়। এখানকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের জন্য। অতীতে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি এলাকার জনগণ।

বিষয়ে গাববুনিয়া এলাকার কৃষক ইয়াছিন মোল্লা বলেন, উত্তর গাব্বুনিয়া গ্রামে আমাদের প্রায় প্রতিটি পরিবারের এ বিলে চাষাবাদের জমি রয়েছে আমরা সকলে মিলে ইউএনও মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করলেও তখনকার (সাবেক) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হাসানাত আবু-আবদুল্লার নিজের জমি পশ্চিম পার্শ্বে থাকায় তিনি কোন ফয়সালা দেননি ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে আমাদের ফসলি জমি পানি বন্দি হয়ে থাকে। আমরা এলাকাবাসী এটার দ্রুত একটা ফয়সালা চাই।

এদিকে, গত পাঁচদিন যাবৎ উপকূলীয় এলাকায় একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ভারী, কখনো মাঝারি বৃষ্টি ঝরছে। ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টিতে জনজীবন হচ্ছে বিপর্যস্ত। টানা এই বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে ফলসের ক্ষেত কোথাও আমন ক্ষেত, কোথাও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। ঘরবাড়ি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। এদিকে জোয়ারের পানিতে মাছের ঘের ও পুকুর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ চলে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নিন্মাঞ্চল। দফায় দফায় বৃষ্টি ও ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চল। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে মানবেতর জীবন পার করছে সাধারন মানুষ। এছাড়া পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। পায়রা সমুদ্র বন্দরের ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত বহাল রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২ নং বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ইতোপূর্বে এই ধরনের জলাশয়ের সমস্যা নিয়ে প্রতিকারের আবেদন পাইনি। তবে আজকে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তাই তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করি গ্রামীণ অবকাঠামোর আওতায় যে কোন সমস্যার সমাধান দেয়া সম্ভব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App