×

সারাদেশ

তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মুজাহিদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম

তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মুজাহিদ

খুলনার ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে মুজাহিদ হোসেনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা)

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র মুজাহিদ হোসেন (৪০) অভিযোগ করেছেন, তাকে তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়া খাতুন, শ্বশুর, মামা শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর মিলে হয়রানিমূলক মামলা ও অমানবিক নির্যাতন করছেন।

সোমবার (৭ আগস্ট) ১১টার সময় ডুমুরিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। মো. মুজাহিদ হোসেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আশরাফ আলী মোড়লের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, আমি একজন নির্যাতিত অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। সামাজিকভাবে ২০১০ সালে আমি বিয়ে করি। বিয়ের পরে আমার বন্ধু গো-রোস্তমপুরের নাজমুল মোল্লার বোন ও আ. হালিম মোল্লার মেয়ে মারিয়া বেগমের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ি। ২০১৮ সালে আমি আমার পরিবারের সকলের অগোচরে লুকিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করি। তবে বিয়ের পরে ২/৩ বার আমার বন্ধুর বোন হিসেবে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসে। পরে আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকে আমার বন্ধু ও তার পরিবার।

আমি তালাক দিতে অস্বীকার কয়ায় আমাকে শ্বশুরবাড়ি ডেকে নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ মে জোর করে আমার কাছ থেকে তালাক নেন। তালাক নেয়ার পর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমাকে চোখ বেঁধে তালা উপজেলার ইসলামকাটী মামা শ্বশুর আলতাপ সরদারের বাড়ি নিয়ে আটকে রাখা হয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে সারারাত ধরে আমার ওপর অমানষিক অত্যাচার করা ওই রাতে জোর করে আমার কাছ থেকে ১০০ টাকার ১০৭টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। পরেরদিন সকালে আমাকে তালা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

থানায় কল্পকাহিনি তৈরি করে আমার নামে এবং আমার ও আমার এলাকার আরও ২ সাতক্ষীরা জেল খানায় থাকাকালে খুলনা আদালতে আমার শ্বশুর, মামা শ্বশুর, চাচা গণি মোল্লা, ভায়রা ভাই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে পৃথক ৪টি হয়রানিমূলক মামলা করে। এ মামলায় আমি সাড়ে ৫ মাস কারাবরণ করি আমার পিতা ২ মাস ৭দিন খুলনা কারাগারে ছিলেন। আমার নামে আরও দুইটি মামলা যশোরে আদালতে করা হয়।

ভুক্তভোগী মো. মুজাহিদ হোসেন বলেন, আজ আমি মৃত্যু পথযাত্রী। আমার চোখ বেঁধে নির্মম নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। আমাকে অজ্ঞান ইনজেকশন দিয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ করা হয়। আমি এখন পঙ্গু। যে কোন সময় আমার মৃত্যু হতে পারে। ওই ইনজেকশন নাম না জানায় সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছি না। ফলে ধীরে ধীরে আমি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে ঢলে পড়ছি। আমি এখন পঙ্গু থাকা অবস্থায় বাড়ি তল্লাশির নামে আমার পাসপোর্টও নিয়ে যায়। আমি পাসপোর্ট না পাওয়ায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাও করতে পারছি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App