×

সারাদেশ

দৌলতপুরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন ফিজিওথেরাপিস্ট আব্দুল মজিদ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

দৌলতপুরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন ফিজিওথেরাপিস্ট আব্দুল মজিদ!

দৌলতপুরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন আব্দুল মজিদ! মো. শাহ আলম, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ফিজিওথেরাপিস্ট মো. আ. মজিদ ওরফে জাহাঙ্গীর দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ডাক্তারের ভূমিকা নিয়ে শত শত রোগী দেখছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তার সেজে রোগী দেখতেন। এভাবে একের পর এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

রবিবার (৬ জুলাই) ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আ. মজিদ যে প্রেসক্রিপশন করেন তা সম্পূর্ণ অস্পষ্ট, তার লেখা প্রেসক্রিপশন ওষুধ ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ একদমই বুঝতে পারে না। বেশিভাগ রোগী ভুল ওষুধ নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। তার প্রেসক্রিপশন থাকে না ওষুধ খাওয়ার নিয়মনীতি। মূলত তার করার কথা গবেষণাধর্মী ও স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি ফিজিওথেরাপি। এর মাধ্যমে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জড়িত মানুষকে থেরাপি মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া। কিন্তু তিনি তা না দিয়ে হাসপাতালে আউটডোরে ২৯ নং কক্ষে বসে ভুল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। এতে সাধারণ মানুষকে বিপদে পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ ওষুধ খায় না। কেউ আবার অন‍্য ডাক্তারের সহযোগিতা নেয় কেউ আবার ভুল ওষুধ খেয়ে আরও বিভিন্ন রোগে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে। তাকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি শুনছেন না।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোগী রুপা বেগম বলেন কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই রোগী দেখেই প্রেসক্রিপশন শুরু করে দেন। কিন্তু সে যে প্রেসক্রিপশন করেছে ডিসমেনসারীরিতে গিয়ে ওষুধ কিনতে আমার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কোন ডিসমিসরিতে থেকে বলতে পারেনি যে আমি কয় বেলা কোন ওষুধটা খাবো। আমিও কিছুই বুঝতে পারিনি।

অন্য এক রোগী দিপালী চক্রবর্তী বলেন, আমি বহুদিন যাবত হসপিটাল থেকে প্রেসক্রিপশন করিয়ে ওষুধ খাই। কিন্তু এই মজিদ ডাক্তার যে প্রেস্ক্রিপশন করে সে ওষুধ খাওয়া যায় না। ওষুধ পাওয়া যায় না যে প্রেসক্রিপশন করে রোগীরা ঠিকমতো নিয়মিত ওষুধ খেতে পারে না। যার ফলে আমার মত বহু রোগীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অবিলম্বের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ফিজিওথেরাপি মো. আ. মজিদ ওরফে জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত‍্যাগ করেন। তার মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টার পর তিনি ফোন ধরেন। তাকে প্রশ্ন করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম। কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।

এ বিষয় হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম সিদ্দিকীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আ.মজিদ কোন ডাক্তার নয়। আমি যোগদানের পর তাকে দেড় বছর আগে মানা করা হয়েছে। তার পরও যদি সে দেখে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App