×

সারাদেশ

উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি
উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি
উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি
উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি
উপকূলীয় ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু এখন সময়ের দাবি

ভোরের কাগজ বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী ও বরগুনা উপকূল একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য জোন এলাকা। প্রায় ৩ লাখ মানুষ রয়েছে জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত। সমুদ্র কেন্দ্রীক অঞ্চল বরগুনা ও পটুয়াখালী থেকে বিভিন্ন মৎস্য রপ্তানিকরণে প্রসেসিং করে চট্রগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। ফিসিং প্রসেসিং করার সময় এবং অর্থের অপচয় রোধে উপকূল কেন্দ্রীক ফিশিং প্রসেসিং জোন চালু করা এখন সময়ের দাবি। কুয়াকাটায় দুইদিন ব্যাপী বরিশাল বিভাগীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

তিনি বলেন, ভোরের কাগজের মূল উদ্যেশ্য হলো জাতীর পিতার স্বপ্নের পথে হাটা ও তা বাস্তবায়ন করা। গতকাল ছিলো শেখ কামালের জন্মদিন। আবার একই মাসে তার মৃত্যু বার্ষিকী। এই আগষ্ট মাসজুড়ে জাতির পিতার পরিবারে মর্মান্তিক সব ঘটনা গাঁথা রয়েছে। সেই অজোপাড়া গাঁ থেকে উঠে আসা শেখ মুজিব আমাদের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বপ্নের পথে হাটতে শিখিয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, চল্লিশের দশকে টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ যেতে একদিন সময় লাগতো, যা এখন ২০ মিনিটে পৌছানো যায়। আর ঢাকা যেতে লাগতো চার দিন। সেখানে এখন কয়েক ঘন্টা সময়ে যেতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে ওঠা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

ভোরের কাগজের সম্পাদক আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন পালটে গেছে। বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইটের দেশ। দক্ষিণ জনপদে পদ্মাসেতু মহা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এক সময় ফেরীর চরম ভোগান্তি এখন মানুষের লাগব হয়েছে সেতুর বদৌলতে। স্বল্প সময়ে পরিবর্তিত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বরিশার একটি জটিলতার অঞ্চল। অনেক বিখ্যাত মানুষের জনপদ এই বরিশাল অঞ্চল। ৪০-৫০ দশকের বরিশাল অঞ্চল এখন পরিবর্তন হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

এই বঙ্গবন্ধুর দেশে অপ্রত্যাশিত কিছু নির্বিগ্নে ঘটবে তা হতে পারে না। একটি সাম্প্রদায়িক দেশে তা কখনোই হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে মুছে দিতে  বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে যাতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। সাংবাদিক যারা লিখতেন তাদের আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে। যে কারনে আজ দল ১৫ বছর ক্ষমতায়। তারা নানা দেশে নানা বেশে এবং কি দলের মধ্যেও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে।

ভোরের কাগজের পরিবার চেতনার পাখির মতো। সবাই কি বাড়ি-গাড়ি, টাকা ও ধান্ধাবাজির পিছনে ছুটবেন? আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা হাড়িয়ে যাচ্ছে যা আমাদের সাংবাদিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে বাচিয়ে রাখার জন্য।

তিনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত  প্রসঙ্গে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দেশের অন্যতম এই সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ পরিবেশ প্রতিবেশ দেখে মনে হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি অভিভাবকহীন। পটুয়াখালী জেলার জনপ্রতিনিধিরা কুয়াকাটার প্রতি কম খেয়াল রয়েছে।

শ্যামল দত্ত বলেন একটি দেশের পর্যটন কেন্দ্রে কখনোই ফরেন ট্যুরিস্ট আসবে না যদি না সেই দেশের ট্যুরিস্ট গিয়ে শান্তি না পায়। এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হতে হবে নান্দনিক। ২০০৯ সাল থেকে ১৪ বছর অতিক্রম হলেও মাস্টার প্ল্যান হলো না কেন? সৈকত এলাকায় দোকান গুলোতে গেলে শুটকির গন্ধ নাকে আসে, এটি পর্যটকদের জন্য একটি বিব্রতকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। শুটকির মাছের জন্য আলাদা শুটকি জোন থাকতে হবে। কুয়াকাটায় বিশেষ দিন গুলোতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়, সেখানে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২০ হাজারের মতো। এতে চরম ভোগান্তিতে পরে আগত পর্যটকরা। কেউ থাকে সৈকতের বেঞ্চীতে, কেউ থাকে গাছের নিচে, আবার কেউ স্থানীয়দের বাসা বাড়িতেও আবস্থান করেন। অন্যান্য ট্যুরিস্ট স্পটের মতো পর্যটকদের জন্য একটি মাঠের ব্যাবস্থা করে দিতে হবে যাতে সেখানে তারা তাবু টাঙ্গিয়ে রাত যাপন করতে পারেন।

বিশ্বের প্রযুক্তির উন্নয়নে এক সময় তরুন প্রজন্ম আর পত্রিকা পড়বে না। দেশের ১১ কোটি স্মার্ট ফোন ইউজারদের ৮ কোটি ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী রয়েছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। তাই পাঠকদের জন্য বিকল্প চিন্তা আমাদেরই বের করতে হবে।

শ্রাবণের বারিধারা, নেই রাত নেই দিন, আনন্দে হৈ-হুল্লোড়ে আত্মহারা ভোরের কাগজের প্রতিনিধিরা। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল পর্যটন হলিডে হোমস ও ইয়ুথ ইন অডিটোরিয়াম ৪ ও ৫ আগস্ট দুইদিন ব্যাপী বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০ টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তপ্রানের প্রতিধ্বনি জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোরের কাগজের মফস্বল সম্পাদক মোকসুদুল বারী টিপু, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান হিসাব রক্ষক আবদুল করিম সোহাগ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজন নন্দী, সার্কুলেশন ম্যানেজার তসলিম উদ্দিন, আইটি ইনচার্জ মেহেদী হাসান।

প্রতিনিধি সম্মেলনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অধিবেশনে ভোরের কাগজের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাসের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা, আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ। এসময় ভোরের কাগজের প্রতিনিধিরা সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রসংশা করেন।

প্রতিনিধি সম্মেলনকে ঘিরে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সাংবাদিকদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।

দুইদিনব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলন এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। অঝোর ধারায় ভাড়ি বর্ষন, বৈরী আবহাওয়া আর সমুদ্রের রুদ্র মুর্তি উপেক্ষা করে ভো্রের কাগজ প্রতিনিরা সফলতা এ সম্মেলনকে সফল করে তোলেন। ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে দইদিন ব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।

দুইদিন ব্যাপী এই প্রতিনিধি সম্মেলনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বরিশাল জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও কুয়াকাটা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আনু। এ সম্মেলন সফল করতে সহযোগিতা করেন পটুয়াখালী প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান ও কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি এসকে রঞ্জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App