×

সারাদেশ

চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙনে নদীগর্ভে দেড় শতাধিক বসতভিটা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩০ এএম

চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙনে নদীগর্ভে দেড় শতাধিক বসতভিটা

চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙনে নদীগর্ভে দেড় শতাধিক বসতভিটা । ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে মেঘনার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে দেড় শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে। সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ও শরীয়তপুর জেলার চরছেনসাস এলাকায় এই ভাঙনে অনেকেই ছিন্নমূল হয়ে পড়েছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা সীমান্তের ওই এলাকার প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও শত শত বসতভিটা গত কয়েকমাস ধরে মেঘনার গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের একাংশ আলু বাজার ফেরিঘাটও রয়েছে। মূলত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দেয়। বর্ষার পানি কমা শুরু করলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশ দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এখান থেকে অন্যত্র গিয়ে বাড়ি তৈরি করার সামর্থ্যও নেই তাদের। যে কারণে ভাঙনের মুখে তারা অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে আছেন। আতঙ্কের মধ্যেই তাদের দিন কাটে। একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে বসতভিটা রক্ষায় যেন সরকার এগিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে চরছেনসাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার বালা বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকারকে এই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। কারণ আমাদের সামর্থ্য নেই এই ভাঙন প্রতিরোধ করা।

এছাড়া ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান জানান, ভাঙন এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। কয়েকবার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন এলাকায় প্রতিরোধের চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু বর্ষা এলে এবং পানি কমলে ভাঙন বাড়তে থাকে।

তবে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ইব্রাহীমপুর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটির ডিজাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই অর্থবছরের শুরুতে আমরা এটি দাখিল করব। পাশাপাশি যে এলাকায় বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সে এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App