×

সারাদেশ

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:০০ পিএম

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রধান শিক্ষকের ঔদ্ধত্য

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য এক প্রার্থীর কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন বারবার উচ্চ কণ্ঠে ও আঙুল নাড়িয়ে কথা বলেন।

বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক সহ কয়েকটি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে তাতে বেশ কয়েকজন আবেদন করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য আব্দুল ওয়াদুদ নামে একজন চাকরিপ্রার্থীর কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ ঘটনায় আব্দুল ওয়াদুদ মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। লিখিত অভিযোগের পেক্ষিতে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন অভিযোগকারী ও প্রধান শিক্ষককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২ আগস্ট উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে তদন্ত শুরু হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন সকালের সামনে বার বার আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষকের এই রকম আচরনে জৈষ্ঠতা লংঙ্গন হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। অভিযোগকারী আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অফিস সহায়ক পদের জন্য আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন তার নিকট আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তখন উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক আবারো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। তবে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেকের চোখে পড়েনি। জানা গেছে, শুধু প্রধান শিক্ষকের কাছের লোকজনই আবেদন করেছে।

সেলিম মিয়া নামে একজন জানিয়েছেন, নৈশ প্রহরী পদে তার ভাই আবেদন করেছিলেন। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই পদে সাড়ে তিন লাখ টাকার একটি চুক্তি হয়।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও ধর্মঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়টি নিজের মতো চালাচ্ছেন ফরাশ উদ্দিন। একটি পকেট কমিটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শূন্য পদে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া আছে সেটা অনেকেই জানেন না। প্রধান শিক্ষক অনেকের কাছেই ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হলে তদন্তের সময় প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন উচ্চ কণ্ঠে ও আঙুল নাড়িয়ে কথা বলেন।

তবে এসব অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ফরাশ উদ্দিন।

মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, তদন্তকালে প্রধান শিক্ষক একটু উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। এসময় তাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App