×

সারাদেশ

বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম

বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ

চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে জনসাধারণকে। ছবি: ভোরের কাগজ

বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ
বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ
বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ
বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ

সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও মেগাপ্রকল্পের ধীরগতি সরানো হয়নি খালের বাঁধ, পরিষ্কার হয়নি নালা-নর্দমা

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক সময় ধরে জলাবদ্ধতা নিরসণে প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু প্রতি বছরই বৃষ্টি হলেই ডুবছে নগরী। প্রতি বছরই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তাব্যক্তিরা নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে আসছেন নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই দেখা যায় না। মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতেই ডুবে যায় বন্দরনগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। জলাবদ্ধতায় স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বছরের পর বছর ধরে একই চিত্র বন্দরনগরীর।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। মূল সড়কের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীর অলিগলিতেও। নিচতলার বাসাবাড়ি-দোকানপাটে ঢুকে পড়ে পানি। খোদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনও হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে যায়।

বৃষ্টি হলেই ডুবছে বন্দরনগরী, চরম দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চাক্তাই খালের মাটি পুরোপুরি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) পুরোপুরি অপসারণ না করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে তাদের দাবি।

চট্টগ্রাম সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, খাল ও নালার ভেতরে থাকা অস্থায়ী বাঁধগুলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) অপসারণ না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ছে। আর চউকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে খাল-নালার পলিথিন ও আবর্জনা অপসারণ করতে হবে চট্টগ্রাম সিটিকে। খাল-নালার ময়লা চসিক অপসারণ না করায় পানি প্রবাহ ব্যহত হয়ে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরে ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সময় প্রতি বছর মানুষের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে যায়। এতে নষ্ট হয় গৃহস্থালির জিনিসপত্র থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক পণ্য সামগ্রী। জলাবদ্ধতায় প্রতি বছর কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

অথচ চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। কয়েক বছর ধরে এসব প্রকল্প চলমান। প্রতি বছরই বলা হয় আগামীবার জলাবদ্ধতা সহনীয় মাত্রায় থাকবে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রকল্পগুলো চলমান থাকলেও কাজের অগ্রগতি তেমন না থাকায় নগরবাসীর ভোগান্তি ক্রমাগতই বাড়ছে। অপরদিকে, অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতার এই দুর্ভোগের জন্য নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবা সংস্থাগুলো বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন বিশিষ্ট নাগরিক ও নগর পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ঢাকতে সংস্থাগুলো এক অপরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে ধীরগতি ও নানা অসঙ্গতির কারণে নগরবাসীকে বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের আওতায় খালে দেয়া বাঁধ অপসারণ না করা ও বিভিন্ন নালা-নর্দমা ময়লা-আবর্জনা ভর্তি থাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই অল্প বৃষ্টিতেই নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

গত দুদিন ধরে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাতের পর বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতভর টানা বৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল অন্তত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। বর্ষার শেষভাগে এসে টানা বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেনের পানি সড়কে উঠে আসে এবং নিচু এলাকার বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়ে। বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, তিন পুলের মাথা, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুর ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানি উঠে যাওয়ায় নিচু এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চকবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচাবাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের দোকান-আড়তেও পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে বন্দরনগরীর শুধু নিচু এলাকা নয়, পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও। নগরীর বহদ্দারহাটের বহদ্দার বাড়ির (মেয়রের বাড়ি) সামনের সড়ক থেকে বাড়ির উঠান পর্যন্ত হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি। আর সেই পানি মেয়রের বাসায় ঢুকে নিচতলার হাঁটুপানি। জলাবদ্ধতার কারণে ঘরে আটকে পড়া মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী শুক্রবার বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি। গলিতেও ছিল কোমর সমান পানি। মেয়রের ব্যবহৃত চসিকের গাড়ি পানির মধ্যেই রাখা ছিল।

মেয়রের একান্ত সহকারী আবুল হাশেম বলেন, মেয়র মহোদয়ের বাসায় পানি উঠে গেছে। তিনি বাসায় আছেন। বিভিন্ন এলাকায় উঠে যাওয়া পানি দ্রুত অপসারণের জন্য মেয়র মহোদয় বিভিন্ন নির্দেশনা আমাদের দিচ্ছেন। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।

স্থানীয় চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক বলেন, মেয়র মহোদয়ের বাসাটা একটু নিচু, রোড লেভেলে না। সেজন্য সেখানে অল্প বৃষ্টিতেও পানি জমে থাকে। এখানে আমরা একটা বড় ড্রেন করছি। সেটার কাজ শেষ হলে সেভাবে পানি জমবে না।

চট্টগ্রাম সিটির প্রধান পরিচ্ছন্ন কমকর্তা আবুল হাশেম বলেন, চাক্তাই খাল হচ্ছে শহরের মেইন খাল। এই খালের মাটি পুরোপুরি অপসারণ করা হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করছে সিডিএ। বর্ষার আগে মাটি নিয়ে যাবার জন্য আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু সিডিএ সেটা না করায় শহর আবার পানিতে ডুবেছে। অথচ এবার জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আমাদের ধারণা ছিল। আর চট্টগ্রাম সিটির পক্ষ থেকে আমরা বারইপাড়া খাল খননের কাজ শুরু করেছি। ২০২৫ সালের দিকে খাল খননের কাজ শেষ হলে বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাদুরতলাসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না।

চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক বলেন, ফরিদার পাড়া, শমসের পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, বহদ্দারহাট এলাকায় কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি, কোথাও আবার তার চেয়েও বেশি। আমাদের এলাকায় খালে যেসব স্লুইচগেট বসানো হয়েছে, সেগুলো এখনো চালু হয়নি। সাগর থেকে আসা পানি সহজেই প্রবেশ করেছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার মতো কোনো বাঁধ দেয়া হয়নি। পানি নিষ্কাশনের পথ নগরীর নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে পড়েছে। আবর্জনা ভর্তি নালা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই অল্প বৃষ্টিতেই নগরীর নিম্নাঞ্চল ডুবে যাচ্ছে। অন্যদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা সেবা সংস্থাগুলোকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য না দিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন।

২০১৭ সালে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক ফোরাম একনেক। ২০১৮ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। গত ৬ বছর ধরে সিডিএ স্লুইসগেট নির্মাণ শুরু করলেও তার একটিও পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের কোনো সুফলই পাচ্ছে না নগরবাসী। তার ওপর খালে বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে দাবি করে বেশ কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিটি করপোরেশনের মেয়রও। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান নির্মাণ প্রকল্পের জন্য খালের মুখে যেসব বাঁধ দেয়া হয়েছে, সেগুলো খুলে দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

তবে এই প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, শহরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে সেই বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি। এসব জায়গার পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। তবে বাঁধের কারণে পানি ওঠে এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এমন কোনো বাঁধ আমরা দেইনি। দুই-একটা খালে বাঁধ থাকলেও জলাবদ্ধতা হচ্ছে না। খালের পুরো কাজটা আমরা এখনো শেষ করে উঠতে পারিনি। এখন পর্যন্ত ১২টি খালের কাজ শেষ করা হয়েছে। আরো ছয়টি খালের কাজ শেষ মুহূর্তে রয়েছে। আশা করছি, খালের কাজ শেষ হয়ে এলে জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কমে আসবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য খালগুলোতে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এই বাঁধ সরানো হয়নি। জোয়ারের পানি প্রবেশরোধে রেগুলেটর বসানো কথা ছিল। কিন্তু এখনো তা হয়নি। এছাড়া নালা-নর্দমা আবর্জনামুক্ত না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণেই চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬টি খাল খনন ও সংস্কার করে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই খালগুলো ম্যান্টেইননেন্স (রক্ষনাবেক্ষণ) করতে কি ধরনের জনবল কাঠামো লাগবে, কি ধরনের ইক্যুপমেন্ট লাগবে- প্রকল্পে এই ধরনের কোন নির্দেশনা নেই। খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে, খালগুলো আবার ভরে যাবে। খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে তহবিল দিতে হবে, লোকবল নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এ জন্য অপারেশন ম্যানুয়েল তৈরি করতে হবে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময়ে করনীয় নিয়ে এখনই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি।

জলাবদ্ধতা নিরসণে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প ছাড়াও ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএ ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন পায়। পরের বছর থেকে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু করে সংস্থাটি। এছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৯ সালে এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো আরেকটি প্রকল্পের অনুমোদন পায়। এ প্রকল্পে ২৩টি খালের মুখে রেগুলেটর স্থাপনের পাশাপাশি কর্ণফুলীর তীরে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যাপ্রতিরোধক দেয়াল নির্মাণ করা হবে। সেটির কাজও চলমান রেখেছে পাউবো। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বিভিন্ন সময় খাল ও নালা পরিষ্কারে প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া, বহদ্দারহাট থেকে বারইপাড়া পর্যন্ত নতুন খাল খননের কাজ করছে চসিক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App