×

সারাদেশ

মসজিদ কমিটির কাছে চাঁদাবাজি!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম

মসজিদ কমিটির কাছে চাঁদাবাজি!

ছবি: ভোরের কাগজ

মিঠাপুকুরে সমজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর কাছে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরে শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চাঁদনী চাঁদপুর গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন-দূর্গাপুর ইউনিয়নের কানুদাসপাড়া গ্রামের আমরুল ইসলামের ছেলে মুরাদ খান ও হরিপুর গ্রামের কাচাঁরী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। মানববন্ধনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুর ইউনিয়নের চাঁদনী চাঁদপুর গ্রামের গৃহবধু বিউটি বেগম ও পরিবারের লোকজনের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্থানীয় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী শালিস বৈঠক করছিল। ওই শালিস বৈঠকে শেষ পর্যায়ে পাশের কানুদাশপাড়া গ্রামের কয়েকজন যুবকসহ মুরাদ খান বিউটি বেগমের উপর হামলা চালায়। এসময় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের সাথে যুক্ত হন হরিপুর গ্রামের কাচাঁরী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম। পরে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন তারা। মুরাদ খান ও আজিজুল ইসলাম ঘটনাটি রফাদফা করতে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন মসজিদ কমিটির লোকজন।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন করে সমজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী। ঘন্টাব্যাপি চলা এই মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। তারা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করা রুবেল মিয়া বলেন, রাতের আধারে মুরাদ খানের লোকজন একাধিকবার বিউটি বেগমের উপর হামলা চালিয়েছে। উল্টো সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মিঠাপুকুর থানায় মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। পরে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করছে তারা। আমরা পুরো গ্রামের লোকজন কয়েকদিন ধরে পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছিনা। বিউটি বেগম বলেন, তারা আমার উপর একাধিকবার হামলা করলো। পরে আমাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছি। স্থানীয় লুৎফর রহমান বাবলু বলেন, মুরাদ খান লোকজনসহ রাতের আধারে আমাদের গ্রামবাসির উপর হামলা করলো। থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে মুরাদ খান ও আজিজুল ইসলাম। একই কথা বলেন মাসুদ রানা, আব্দুল জলিল মিয়াসহ গ্রামের অনেকে। অভিযুক্ত মুরাদ খান বলেন, আমি রাত প্রায় সাড়ে ১২টার সময় কিছু লোকজনসহ তাদের গ্রামে গিয়েছিলাম। এসময় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়, আমি শুধুমাত্র ক্যামেরার দাম চেয়েছিলাম। আজিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। মুরাদ আমাকে ডেকে ঘটনাটি বলেছে।

মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মেহেদী হাসান মুরাদ একটি অভিযোগ করেছে। অপরদিকে গ্রামবাসীও একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App