×

সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রী বরণে প্রস্তুতি রংপুরে, সাজ সাজ রব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৬ এএম

প্রধানমন্ত্রী বরণে প্রস্তুতি রংপুরে, সাজ সাজ রব

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী বরণে প্রস্তুতি রংপুরে, সাজ সাজ রব
প্রধানমন্ত্রী বরণে প্রস্তুতি রংপুরে, সাজ সাজ রব

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর আসছেন আজ বুধবার। পুত্রবধূ শেখ হাসিনাকে বরণে প্রস্তুত রংপুরবাসী। দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে রংপুরে আসবেন তিনি। বিকাল ৩টায় রংপুর জিলা হাইস্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। তার আগে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

এদিকে রংপুরের এই জনসভা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেই হিসেবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনসমাবেশ সফল করতে গত এক সপ্তাহ থেকে নেতাকর্মীদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রীসহ এক ডজনের বেশি মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা আগে থেকে রংপুরে অবস্থান করছেন। মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা- শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেয়ার। আয়োজকদের মতে, ওই জনসভা হবে জনসমুদ্র।

রংপুর বিভাগের ৯ সাংগঠনিক জেলা ইউনিট রংপুর জেলা ও মহানগর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের প্রতিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা জনসভায় অংশ নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারা সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ১০ লাখ মানুষের জনসমাগম করবেন তারা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে রংপুর মহানগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ পথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তৎপর রয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘির পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন রংপুরে। বধূবরণে আয়োজনের বিন্দুমাত্র কমতি নেই কোথাও। মিছিলে মিছিলে এবং নৌকা প্রতীকে একাকার নগরী। চলছে বর্ণিল প্রচারণা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। নগরীর বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ কোথাও ফাঁকা নেই। ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়েছে রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার। চলছে বাদ্যযন্ত্র ও গানের তালে নেচে গেয়ে মাইকিং। জনসভাস্থল ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, জিলা স্কুল মোড়, ডাকঘর মোড়, সুরভি উদ্যান মোড়, পুলিশ লাইন্স মোড়, সিটি বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মাইক লাগানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে মাঠ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে নেতাকর্মীদের ধারণা জিলা স্কুল মাঠের জনসভা মঞ্চ থেকে ২০১১ সালের মতো আবারো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় থাকতে পারে চমক। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, শ্যামাসুন্দরী খাল খনন, রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক জোন, বন্ধ চিনিকল খুলে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা আসতে পারে জনসভা থেকে। এছাড়াও ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ২৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং নতুন করে আরো পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভায় যোগ দেয়ার আগে তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে আসছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই লাখ বোতল পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তীব্র রোদে কিছুটা হলেও মানুষ পিপাসা মিটিয়ে শান্তি পায়। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে জনসভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে- যা দেখভাল করবে মহানগর পুলিশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App