×

সারাদেশ

প্রকল্প গ্রহণে চসিকের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে: মেয়র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম

প্রকল্প গ্রহণে চসিকের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে: মেয়র

ছবি: ভোরের কাগজ

দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের চাপে পিষ্ট চট্টগ্রামকে বসবাসের উপযোগী রাখতে সকল সরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) নগরীর নন্দনকাননের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ৩০তম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় নগরীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের দাবি। এসময় মেয়র বলেন, অন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে চসিক’র আওতাধীন এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করতে হলে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। আমরা রাস্তা বানাব আর অন্য সংস্থা রাতের আঁধারে রাস্তা কেটে ফেলবে, এভাবে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব নয়। চট্টগ্রামে বর্তমানে জনসংখ্যা ৭০ লাখ, যা আবার প্রতিদিন বাড়ছে। এই বাড়তি চাপ মোকাবিলায় সবগুলো সরকারি সংস্থা জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ না করলে নিকট ভবিষ্যতেই চট্টগ্রাম বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ডেঙ্গুর উৎস সন্ধানে পরিচালিত অভিযানে নির্মাণাধীন ভবনে সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রামে অনেক সরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, এসব ভবনেও যাতে ডেঙ্গুর প্রজনন ক্ষেত্র না থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। চসিকের পক্ষে মশা নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলছে, দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সেবা। প্রয়োজনে করোনাকালের মতো চসিকের পরিচালিত হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য পৃথক বিশেষায়িত কেন্দ্র চালু করা হবে। মেয়র বলেন, অনেকে ড্রোন ব্যবহারের সমালোচনা করছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। ড্রোনের কারণে বহুতল ভবনে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করা যাচ্ছে অনেক দ্রুত। সুইমিং পুল, ছাদ বাগান, বারান্দায় টবে জমে থাকা পানি মশা প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠছে। জনসাধারণের সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

ট্রাফিক বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের বেশির ভাগ এলাকায় যথেষ্ট রাস্তা থাকলেও যানজট হচ্ছে; যার মূল কারণ অবৈধ পার্কিং। বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে ট্রাক-লরিসহ বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং করা থাকে। অবৈধ দখলবাজির কারণে ফুটপাথে মানুষ হাটতে পারেনা। এমনকি একটি সংস্থা ফুটপাত দখল করে চশমার দোকান, খাবারের দোকান বসিয়ে ফেলেছে। আমরা সকালে উচ্ছেদ করি, দখলদাররা সন্ধায় আবার দোকান বসায়। চসিকের আয় বাড়াতে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ে বলেছি বন্দরে প্রত্যেক কনটেইনার থেকে চার্জ আদায় করতে হবে, কাস্টমসে পৃথক চার্জ আরোপ করতে হবে। শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে চট্টগ্রামের মতো বড় শহর চলতে পারেনা। অপর সংস্থাগুলো আয়ের একটি অংশ চসিককে দিলে সে টাকা দিয়ে চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের গতি বাড়ানো সম্ভব যা চট্টগ্রামে শিল্পায়ন বাড়াবে। আয় বাড়াতে চসিকের বিদ্যমান ভবনগুলোর উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে, কাজে লাগানো হবে পতিত ভূমিগুলোকে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী ও স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিরা তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন।

এতে প্যানেল মেয়র, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল আসলাম, কাউন্সিলররা, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App