আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের পরই এবছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের প্রথমদিকে বাংলাদেশে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণপন্থী বিএনপি ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি বিদেশি অপশক্তির সহযোগিতায় নানামুখি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। এদের মধ্যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপপ্রয়াস পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তিকে আঘাত করা হলে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সাংবিধানিক এই উপনির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে সংহত করার প্রচেষ্টা।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ তিনি এসব কথা বলেন।

মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘সংবিধানসম্মত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, নির্বাচন ব্যবস্থাকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। ইতিমধ্যে ওই অশুভ শক্তিটি আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করেছে। এটা একটা অশুভ ইঙ্গিত। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যেই তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যাসহ নানা ধরনের নির্যাতন ও আক্রমণ শুরু করেছে।

নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম-১০ আসনের এলাকায় এলাকাকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বোপরি এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও আগ্রহের সম্পূরক হিসেবে নিজেকে নিবেদিত রাখবো। নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের কল্যাণে অব্যাহত আত্মনিয়োগে আমি সংকল্পবদ্ধ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপি আমাদের চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের প্রধান কার্যালয়ে হামলা করেছে। দোকানদার ও নিরাপত্তা কর্মীদের উপরও হামলা করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের অপচেষ্টা মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত থাকবে।

প্রচার-প্রচারণা জোরালো হলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতার ‘গা-ছাড়া’ মনোভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে একধরনের গা-ছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা আমরা অবশ্যই স্বীকার করছি। শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বীর অভাবে একতরফা ও অসম প্রতিযোগিতার কারণে নেতাদের মধ্যে এ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এটা শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারা বাংলাদেশেই একই চিত্র। সেটার একটি কারণ আপনারাও একমত পোষণ করবেন, আমরা খেলার মাঠে যদি প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলা দেখি, সেটা যে খেলায় হোক, ন্যাশনাল বা ইন্টারন্যাশনাল, যারা ক্রীড়াপ্রেমী তারা সেটা উপভোগ করতে মাঠে যান। আর যদি খেলাটা একতরফা এবং প্রতিযোগিতাটা অসম হয়, তাহলে একই ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঠে খেলা উপভোগ করার মানসিকতা থাকে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক প্রমুখ।