×

সারাদেশ

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পূর্বধলার মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৩:০২ পিএম

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পূর্বধলার মানুষ

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট পূর্বধলার মানুষ। ছবি: পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার পূর্বধলা ও শ্যামগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একদিকে চলছে তাপদাহ আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। রোদ এবং ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সারাদিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪/৫ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান গ্রাহকরা।

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ট, বিশেষ করে বৃদ্ধ ও ছোট ছোট শিশুরা কষ্ট করছে। তাছাড়া বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়ায় বসানোই যাচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় এবং বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ছোট ছোট শিল্প কল-কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পথে।

জানা গেছে, পূর্বধলায় ৬৭ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৪-১৫ মেগাওয়াট। সেখানে চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৪-৫ মেগাওয়াট। শ্যামগঞ্জে ৩৩ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৯ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘাটতি থাকায় দিনে রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ির লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, সারাদিনে বিদ্যুৎ কতবার যায় আর আসে তা বলা মুশকিল। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ৩/৪ ঘন্টা পর একবার পর দেখা গেলে স্থায়িত্ব আাধা ঘন্টা থাকে তারপর আবার চলে যায়। এভাবে সারা দিনে বিদ্যুতের লোকোচুরি খেলা চলে।

মাছ ব্যবসায়ী বিশ্ব কুমার পাল জানান, বিদ্যুতের অভাবে বরফ করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনে বিদ্যুত কতবার যায় আর আসে তার হিসাব রাখা দায়। সবচেয়ে বেশি কষ্টের ব্যাপার হলো রাতে যখন ঘুুমাতে যাই তখন কারেন্ট থাকে না। রাতে কারেন না থাকার কারণে আমরা খুব কষ্ট করছি।

তাছাড়া সারাদিনে তো বিদ্যুৎ থাকেই না তার উপর বিদুৎ বিল করা হচ্ছে আগের মতো। এগুলো নিয়েও মানুষের মাঝে অসন্তোষ দানা বাঁধছে। গত এক মাস আগেও বিদ্যুতের অবস্থা একটু ভালো ছিল বর্তমানে বিদ্যুতের অবস্থা খুবই খারাপ। আপতত দৃৃষ্টিতে মনে হচ্ছে শ্যামগঞ্জ-পূর্বধলা অঞ্চলের মানুষের সাথে বিমতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।

গৃহিণী রিক্তা রানী জানান, সারাদিনে কতবার বিদ্যুৎ যায় আর আসে তার কোন হিসাব নাই। শুধু রাতেই পাঁচ-ছয় ঘন্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থদের নিয়ে কষ্টে আছি। এছাড়া বাচ্চাদের পড়াশোনা হচ্ছে না।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মাসুদুজ্জামান ভোরের কাগজকে জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওযায় এ লোডশেডিং হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লে লোডশেডিং কমে আসবে।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বিপ্লব সরকার জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওযায় চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লে লোডশেডিং কমে আসবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App