×

সারাদেশ

প্রশাসনের অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের ভিডিও ভাইরাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১১:২৬ পিএম

প্রশাসনের অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের ভিডিও ভাইরাল

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে উপজেলা প্রশাসনের অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের এক ভিডিও ভাইরাল  ফেসবুকসহ অপরাপর সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার রনজিত মন্ডলের মাধ্যমে ইউএনও স‍্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন টাকা দিলে চলবে না দিলে স‍্যারের হোয়াটসঅ‍্যাপে   তালিকা দিব চলবে না। এভাবে  সরকারের নিষিদ্ধ  অবৈধ ড্রেজার পরিচালনা করে  ।এছাড়া সব সময় ইউএনওর সাথে থেকে আইসিটি কর্মকর্তা সহযোগিতা ও সাহস যোগিয়েছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সহকারি প্রোগ্রামার রণজিৎ ও ড্রেজার ব‍্যাবসায়ী সুমনের সাথে আলাপ চারিতার মাধ্যমে  ভিডিওটি ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ অপরাপর সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সূত্রে জানায়, দৌলতপুর উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার, হাইড্রোলিক ট্রাক্টর, ভেকু (এসকিউবেটর) ও নদীতে বাল্ক হেড বসিয়ে মাটিকাটাসহ সব অবৈধ কাজের মূল হোতা হিসেবে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসনের সহকারী প্রোগ্রামার (এপি- অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার) রণজিৎ মণ্ডল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যোগদান করেন তিনি। সাবেক ইউএনও ইমরুল হাসান যাওয়ার পর নতুন ইউএনওর সাথে তার ভালো সম্পূর্ণ গড়ে উঠায় এধরনের সহযোগিতা করেছেন প্রতিনিয়ত।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার রনজিত মণ্ডল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহামুদুল হাসান সুমনের কথোপকথন শোনা গেছে। দুজনের কথোপকথনের ওই ভিডিওতে রনজিৎ মণ্ডলকে বলতে শোনা গেছে, ইউএনও স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনারা টাকা দিলে ড্রেজার চলবে টাকা না দিলে ড্রেজার চলবে না। স্থানীয় সাংবাদিকরা কন্টিনিউ নক করে স্যারকে। যারা টাকা দেন তাদের ব্যাপারে স্যার কে হোয়াটসঅ্যাপে লিস্ট পাঠানো হয়। এলাকায় মোবাইল কোর্টে গেলে যারা টাকা জমা দেন তাদের ড্রেজার ভাঙ্গা হয় না ও যারা টাকা দেন না তাদের অবৈধ ড্রেজার ভেএঙ দেয়া হয়। আপনারা ড্রেজার চালালে আপনাদেরই লাভ! আমার বাড়ি এখানে নয় তাই আমার বাড়ির মাটি তো আমি কেটে দিচ্ছি না। আমার কোন লস নেই চালাইলে আপনাদেরই লাভ! এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ইউএনওর আস্থাভাজন রণজিৎ  তিনি বাহিরে বেড় না হয়ে বদলীর জন্যে তদবীর করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিন্টু মোল্লা বলেন, ‘রক্ষক যখন ভক্ষক’ মাটি কাটার অবৈধ ড্রেজারের বিষয়ে সরকার যেহেতু জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) সেক্ষেত্রে দৌলতপুর উপজেলার ইউএনও এবং সহকারী প্রোগ্রামার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ড্রেজার পরিচালনায় সহযোগিতা করে উপজেলাটি বিভিন্ন সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এটা সুশীল সমাজ মেনে নিতে পারে না।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র ব্যাপারে সহকারী প্রোগ্রামার রনজিত মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিও পুরোপুরি সত‍্য নয়। তিনি বলেন সুমনের ড্রেজার দুইবার ইউএনও স্যার ভ্রাম্যমান আাদলত দিয়ে ভেঙে দেয়। এতে সে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কারনে আমার রুমে ঢুকে গোপনে ভিডিও করে আমার বিভিন্ন সময়ের কথা বলার কণ্ঠ বসিয়ে কেটে ছেটে এডিট করে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া হয়েছে। এসময় সাংবাদিকরা তার বক্তব্য নিতে চাইলে  তিনি বলেন তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনো সাংবাদিক কিছু করলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আমার বন্ধুকে বলে তার সাংবাদিকতা আমি বাতিল করে দেবো।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বদলিজনিত কারণে যোগাযোগ করা যায়নি। গত ১৭ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে বদলি আদেশ পাওয়ায় তিনি তাড়াহুড়া করে গত ১৮ তারিখে সে যোগদান করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App