×

সারাদেশ

প্রেমের টানে ভারতের কারিশমা সুনামগঞ্জে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩১ এএম

প্রেমের টানে ভারতের কারিশমা সুনামগঞ্জে

আশরাফুল আলম ও কারিশমা শেখ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখের (১৯) সুনামগঞ্জের আশরাফুল আলমের (২৬) ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। অতপর প্রেমের টানে কাঁটাতারের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কারিশমা শেখ। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করে প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসায় বিপাকে পড়েন কারিশমা। প্রথমদিকে মেনে বিয়য়টি মেনে না নিলেও কারিশমাকে মেনে নিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরিবার পরিজন ছেড়ে আশরাফুলের বাড়িতে আসা ভারতীয় এই তরুণীকে নিজের সন্তানের মতো করে গ্রহণ করেছেন আশরাফুলের পরিবার।

আশরাফুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চরাগাঁও। তিনি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কারিশমা শেখ ভারতের আসাম প্রদেশের ডিকেরায় হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।

গণমাধ্যমকে ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখ জানান, কাউকে না জানিয়েই বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। গোহাটি হয়ে কলকাতা যান। পরে কলকাতা থেকে বেনাপোল সীমান্তে আসতে দুদিন সময় লাগে তার। বেনাপোল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে প্রেমিক আশরাফুল।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘ এই পথপাড়ি দিতে তিনি নিজেই পাসপোর্ট, ভিসা করেছেন। পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একা এত দূর চলে আসেন এই তরুণী। এখন এদেশেই আজীবনের জন্য থাকতে চান। সেই জন্য বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

অন্যদিকে, আশরাফুল আলম বলেন, ৩ বছর আগে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় আমাদের। পরে তার মোবাইল নম্বর নিলাম। এরপর থেকে আমাদের মধ্যে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এখন সে বৈধভাবে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সেখান থেকে আমার বাড়ি নিয়ে এলে প্রথমে পরিবার মানেনি। অনেক বোঝানোর পর সবাই মেনে নিছে। এখন তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়াটাই আমাদের আশা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিলন মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ইউনিয়নে এক ভারতীয় মেয়ে এসেছে শুনেছি। পরে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তার বৈধতা যাছাই করে দেখলাম, তার সব কিছু বৈধ আছে। বৈধভাবে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছে। তারা সুখে শান্তিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে এবং নাগরিকত্ব পেতে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App