×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

চট্টগ্রামে নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি আনিছুর রহমান। ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামে নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে থাকবেন ১৪ ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকদিনের মধ্যেই স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ১২ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিনজন, আনসারের দুজন সদস্য থাকবেন। এছাড়া, আনসারের ১০ জন সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ সদস্যও থাকবেন।

এদিকে, চট্টগ্রাম সফরে এসে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত খুবই ভালো। সবাই সবার মতো করে সুন্দর পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপনির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

রবিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। ভোটার ছাড়া ভোট কেন্দ্রে কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাই হয়তো ভোটার উপস্থিতি কম। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ভূমিকাই মুখ্য। হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় নয়। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হামলা-মামলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো ঘটনাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সেজন্য আমরা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়াবো। কিছুদিন আগে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে সেটিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছেন। চট্টগ্রামের এ উপনির্বাচনে এখনো আমরা কারো থেকে কোনো অভিযোগ পায়নি। নতুন দুটি দল নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে দুইটি দলকে নিবন্ধনের সুপারিশ করা হয়। যদি কোনো আপত্তি থাকে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে জানালে আমরা বিষয়টি আমরা দেখবো। অভিযোগ থাকলে সেটি নিষ্পতি করেই দেয়া হবে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া ভোটের এলাকায় নির্বাচনের দিন পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র‌্যাবের চারটি টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছেন।

বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানকে পাঠানো ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করছে। সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সততার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের নিকট দৃশ্যমান হবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে (২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮) এই আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায় আগামী ৩০ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৬ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইভিএম ব্যবহার করে। ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনের উপনির্বাচনে ১৫৬টি ভোট কেন্দ্র ও ১২৫১টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ৩ হাজার ৯০৯ জন। এছাড়া, অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ ৪ হাজার ১০৫ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App