×

সারাদেশ

ডুমুরিয়ায় চিনির মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে মিষ্টির দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম

ডুমুরিয়ায় চিনির মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে মিষ্টির দাম

ছবি: ভোরের কাগজ

খুলনার ডুমুরিয়া বাজারে চিনির মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে মিষ্টির দাম। খুলনার সন্দেশ, সরপুরি, প্যাড়া ও দইসহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে দেশজুড়ে। তবে সম্প্রতি দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে ডুমুরিয়ার উৎপাদিত সবধরনের মিষ্টির দাম। কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি মিষ্টিতে ১০০-১৮০ টাকা দাম বেড়েছে।

মিষ্টি ব্যবসায়ী খান মোঃ ওহিদুল ইসলাম বলছেন, কিছুদিন আগে দুধের দাম বেড়েছে। তার ওপর প্রতিনিয়ত চিনির মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে মিষ্টির ওপর। এতে বেচাবিক্রিও কমেছে।

খুলনার ডুমুরিয়া বাজারে তৃপ্তি সুইটস, রহমান মিষ্টান্ন, ভাগ্যকূল মিষ্টান্ন ভান্ডার ও সাতক্ষীরা ঘোষ‌ ডায়েরি শপ ঘুরে জানা গেছে, দাম বাড়ার কারণে সবধরনের মিষ্টির চাহিদা কমেছে। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে দানাদার ও কালোজাম নামের দুটি মিষ্টি। এগুলো আগে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়া একটু ভালোমানের মিষ্টি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা।

যশোর থেকে ডুমুরিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন মহিদুল ইসলাম। তিনি শহরের কালি বাড়ির মোড়ে ফারদিন মিষ্টান্ন ভান্ডার মিষ্টি কিনছিলেন। মহিদুল ইসলাম বলেন, এ দোকানের মিষ্টির সুনাম রয়েছে। এজন্য যখনই ডুমুরিয়ায়‌ আসি তখন এখান থেকে মিষ্টি কিনি। তবে মিষ্টির দাম বেড়েছে। আগে যে মিষ্টি ২৫০ টাকায় কিনেছি বর্তমানে তার দাম ৪০০ টাকা।

একই দোকানের আরেক ক্রেতা মইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ির সবাই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। এছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন এলে মিষ্টি মুখ না করালে সম্মান থাকে না। তবে মিষ্টির দাম বাড়তি। বাধ্য হয়ে আমার মতো অনেকে বাড়তি দামে মিষ্টি কিনছেন।

সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরি সুইটসের ম্যানেজার দেবু ঘোষ বলেন, চিনি ও দুধের দাম বাড়ার পাশাপাশি জ্বালানি খরচ ও কারিগরের বেতনও বেড়েছে। বাধ্য হয়ে সবধরনের মিষ্টির দাম বাড়াতে হয়েছে।ওই দোকানে জামরুল ৩০০, গুড়ের সরপুরি ৮২০, গোলাপজাম ৩০০, প্যাড়া সন্দেশ ৪০০, আনারকলি ৩০০, স্পেশাল প্যাড়া সন্দেশ ৮৫০, হোয়াইট চমচম ৩০০, কাঁচা ছানা ৪০০, কমলাভোগ ৪৫০, স্পেশাল চমচম ও ক্রিমজাম ২৫০ ও দই খুলি ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্য সব মিষ্টির দাম কেজিপ্রতি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমানে সরকারিভাবে খুচরায় প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা ও খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত এ দামে বাজারে চিনি পাওয়া যায় না। এক কেজি খোলা চিনির জন্য ভোক্তাকে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। কালেভদ্রে দু-এক প্যাকেট মিললেও গুনতে হয় ১৪০ টাকা বা তারও বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App