×

সারাদেশ

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনো বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:২৫ এএম

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনো বন্ধ

পুরনো ছবি

এখনো বন্ধ রয়েছে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার যন্ত্র) ত্রুটির কারণে গত রবিবার (১৬ জুন) থেকে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আনোয়ারুল আজিম জানান, টারবাইন ত্রুটির কারণে ১৬ জুন থেকে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ‘ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড’র প্রকৌশলীরা টারবাইন ক্রুটির মেরামতের কাজ করছেন। মেরামত শেষে আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ৫০ হাজার মেট্টিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। শিগগিরই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ১ লাখ মেট্টিক টন কয়লা আসছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়বে।’ এর আগে কেন্দ্রটির রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গত ৩০ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে গত ১০ জুলাই চালু হয় কেন্দ্রটি। কিন্তু চালু হওয়ার ছয় দিনের মাথায় কেন্দ্রটির টারবাইন ত্রুটির কারণে ১৬ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জাতীয় গ্রীডে তা সরবরাহ। এর আগেও যান্ত্রিক ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানান সমস্যায় কয়েক দফায় বন্ধ থাকে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটির তথ্য অনুযায়ী, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট আছে, যার প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াটের। দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে কারিগরি ত্রুটি ও কয়লা সংকটে বন্ধ ছিল প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। ২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় এক হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App