প্রেমের টানে পাবনায় মালয়েশিয়ান তরুণী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম
রায়হান মণ্ডল ও নুর শাহিদা। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে পাবনার সুজানগরে প্রেমিক রায়হান মণ্ডলের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা (২৬)।
বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মালয়েশিয়ান তরুণী আসার খবর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ।
রায়হান মণ্ডল পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের মো. সামাদ মণ্ডলের ছেলে। আর নুর শাহিদা কুয়ালালামপুর শহরের মোহাম্মদ চিমার উদ্দিনের মেয়ে।
তিনি গত রোববার এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পরে সোমবার প্রেমিক রায়হানের নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে সোমবার এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে ২০১৬ সালের দিকে মালয়েশিয়াতে যান রায়হান। সেখানে গিয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি সেখানে একটি নিজস্ব কাপড়ের দোকান দিয়েছেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার কয়েক বছর পর দুজনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ছয় মাস আগে সেখানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর এক মাসের ছুটি নিয়ে পাবনার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
এ ব্যাপারে রায়হান মণ্ডল বলেন, সাত বছর আগে আমি মালয়েশিয়া যাই। মালয়েশিয়ায় থাকার সুবাদে সেখানে পরিচয় হয় মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমাদের দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসার পর গত সোমবার আমার গ্রামের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ার তারাবাড়িয়া নতুনপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় এক লাখ টাকা। কিছুদিন পর আমরা দুজনই আবার মালয়েশিয়ায় যাব।
রায়হান আমাকে ভালোবাসে, আমিও রায়হানকে ভালোবাসি। পরিবারের সবার সম্মতিতে আমরা বিবাহ করেছি। আল্লাহ আমাদের এ বিবাহ কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে আসার পরে দেখি এখানকর মানুষ খুব ভালো। আশা করি এ বাড়ির মানুষও দারুণ হবে।
রায়হান মণ্ডলের পিতা সামাদ মণ্ডল বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী ভালোমনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও আগত মানুষজনের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন।