রাজবাড়ীর কালুখালীতে নিখোঁজের ১২ দিন পর পাটক্ষেত থেকে জান্নাতি বেগম (২২) নামে স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান।

এরআগে সোমবার রাতে উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে এ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। জান্নাতি ওই গ্রামের আবুল কাশেম বেপারীর মেয়ে। তার তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে পাতুরিয়া গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠের পাটক্ষেতে ঘাস কাটতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কঙ্কালটি দেখতে পান। মরদেহটি শেয়াল অথবা কুকুরে খেয়ে কয়েক টুকরো করেছে; যা দেখে চেনার কোনো উপায় নেই।

পরে ওই ব্যক্তি দৌড়ে এসে এলাকার লোকজনকে খবর দেন। কঙ্কাল ও হাড়গোড়ের পাশেই একটি ব্যাগ ছিল। জান্নাতির বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যাগ দেখে মরদেহটি জান্নাতির বলে শনাক্ত করেন। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ দুপুরেই ঘটনাস্থলে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা কঙ্কাল ও হাড়গোড় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ৪-৫ বছর আগে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কুদ্দুছ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে জান্নাতির বিয়ে হয়। তবে প্রায় আট মাস আগে স্বামীর সঙ্গে জান্নাতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় ছেলেকে তার স্বামী নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি পাতুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন।

গত ৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকেও তার মা তাকে ঘরে দেখতে পান। তবে রাত ১টার দিকে তার মা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে তাকে দেখতে পাননি। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই তার পরিবারের লোকজন কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ বিষয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান জানান, কঙ্কাল ও হাড়গোড় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কঙ্কালটি স্থানীয় জান্নাতি নামে এক নারীর বলে শনাক্ত করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ওই পরিবার থানায় মামলা দায়ের করবেন। আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ওই নারীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।