সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ৫ ইউপি নির্বাচন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ঘটেছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।

এ নির্বাচনে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নেই ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের একজনই জয় মুখ দেখেনি। পাঁচটির মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটিতে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা ও একটিতে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) বিজয়ী হয়েছেন। ভোটাররা ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে উপস্থিত হন। প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। সিলেটের বিশ্বনাথে ৫ ইউপি কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

৩ নং অলংকারী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রবাসী বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান লিটন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নাজমুল ইসলাম রুহেল চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪১ ভোট। আর নৌকা প্রতীকে ৭৩৪ ভোট পেয়েছেন তাজ্জুল ইসলাম মাইকেল। ৪ নং রামপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাম উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা বশির আহমদ চশমা প্রতীকে ৫ হাজার ৭৮০ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরব আলী চতুর্থ হয়েছেন।

৫ নং দৌলতপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা হাফিজ আরব খান চশমা প্রতীকে ৮ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াহাব আলী নৌকা প্রতীকে ২ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়েছেন। ভোটের ব্যবধান ৬ হাজার ৪৬০।

৬ নং সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. দয়াল উদ্দিন তালুকদার আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল জলিল হিরণ মিয়া নৌকা প্রতীকে ১ হাজার ২৮০ ভোট পেয়েছেন।

৭ নং দেওকলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতছিন আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জামায়াত নেতা হোসাইন মোহাম্মদ আক্তার ফারুক চশমা প্রতীকে ২ হাজার ৩১৬ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম জুয়েল।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা গণনা শেষে উপজেলা কন্টল রুমে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ভোট উৎসবে স্থানীয় জনমতের প্রতিফলিত হয়েছে।