×

সারাদেশ

মানিকগঞ্জে শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী শয্যাশায়ী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০১:০২ পিএম

মানিকগঞ্জে শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী শয্যাশায়ী

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের ঘিওরে শ্রেণিকক্ষে বিলম্বে প্রবেশের অপরাধে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে শারীরিক জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের উত্তর তরা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক সাঈদ মিয়া নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হওয়ার কারণে মো. মাহিন (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে আহত করেছেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে। থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মাহিন উত্তর তরা গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং বিধিমালার লঙ্ঘন। কারণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ৯ আগস্ট এক পরিপত্র জারি করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করে কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি প্রদান করা যাবেনা। এই শিক্ষক শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি প্রদান করায় দুটো জিনিস প্রতীয়মান হয়েছে। হয় ওই শিক্ষক অসচেতন এবং অজ্ঞ অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত আইনকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।

আহত শিক্ষার্থী মাহিন জানায়, ক্লাসে ১০ মিনিট দেরিতে প্রবেশ করায় সাঈদ স্যার আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে গরুর মতো পিটিয়েছেন। আমি স্যারের পায়ে পড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু তারপরও আমাকে মেরে জখম করে দিয়েছে। এখনও প্রচুর ব্যথা। নিয়মিত ঔষধ খাচ্ছি।

শিক্ষক মো. সাঈদ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম জানান, আমরা তো বিদ্যালয়েই ছিলাম, তেমন কিছু হয়নি। তবে আমি ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।

ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়ে । এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগের ভিত্তিতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App